ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৮ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩১

‘স্ট্রেচার’ থেকে নেমে আলিসের ‘চার’, শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে চিটাগং

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২২:৪৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
‘স্ট্রেচার’ থেকে নেমে আলিসের ‘চার’, শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে চিটাগং

খাজা নাফে-হুসেইন তালাত যেভাবে ব্যাট করছিলেন চিটাগং কিংসের জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। চার-ছয়ের মারে কমে আসছিল বলের সঙ্গে রানের পার্থক্য। তখনই নাসুম আহমেদের আঘাত। এরপর নাফের উইকেট ভেঙে মুশফিক হাসান যেন চিটাগং কিংসের স্বপ্নও ভেঙে দেন। কিন্তু না! গল্পের এখানেই শেষ নয়। স্ট্রেচার থেকে মাঠে ফিরে আলিস আল ইসলাম লেখেন রূপকথার গল্প।

শেষ বলে প্রয়োজন ছিল চার, বুদ্ধিদীপ্ত শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১১ বছর পর বিপিএলের ফাইনালে নাম লেখায় চিটাগং কিংস। আর পঞ্চমবার প্লে’অফে ওঠা খুলনার সামনে সুযোগ ছিল ফাইনালে নাম লেখানোর, কিন্তু ভাগ্য কথা বলেনি। মুশফিক হাসান হতে পারেন নায়ক, কিন্তু শেষ ওভারে ১৫ রান দিয়ে বনে যান খলনায়ক!

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস জিতে বোলিং নেয় চিটাগং। ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করে খুলনা। তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে জয় নিয়ে চিটাগং মাঠ ছাড়ে। ৭ বলে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচসেরা হন আলিস। বল হাতে ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।  

আরো পড়ুন:

১৮তম ওভারে জেসন হোল্ডারকে পরপর ছয়-চারে রানের ব্যবধান কমিয়ে দেন আলিস আল ইসলাম। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১। হাসান মাহমুদের করা ১৯তম ওভারে ৬ রানের বেশি নিতে পারেনি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন আরাফাত সানি। পরের বলে ডাবলের পর তৃতীয় বলে ডাবল নিতে গিয়ে মাঠ ছাড়েন আলিস। সানির সঙ্গী হন শরিফুল ইসলাম। চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে শরিফুল ব্যবধান কমিয়ে দুই বলে চার রানে আনেন। পরের বলের আউট হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৪। স্ট্রেচার থেকে নেমে আলিস চার মেরে উল্লাসে ভাসান চিটাগংকে।

চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন নাফে। ৪৬ বলে এই রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৪০ রান করেন তালাত। দুজনে জুটিতে যোগ করেন ৭০ রান। এরপর পরপর উইকেট পড়লেও টেল এন্ডাররা ম্যাচ বের করে আনেন। আরাফাত সানি ১৮ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান-হাসান মাহমুদ। 

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ ওভার পর্যন্ত ধুঁকেছে দলটি। বলের চেয়ে রানের সংখ্যা ছিল কম। ধীরে ধীরে ক্রিজে সেট হওয়া শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ের পর জেসন হোল্ডার-মোহাম্মদ নাওয়াজের ক্যামিওতে চিটাগং কিংসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে খুলনা। 

মাত্র ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হেটমায়ার। অথচ প্রথম ২১ বলে এসেছিল মাত্র ২২ রান! এর পরের ১২ বলে করেন ৪১ রান। ৪টি ছয় ও ৬টি চারের মারে ইনিংসটি সাজান হেটমায়ার।

৪২ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন হেটমায়ার। ৩২ বলে ৪১ রানে অঙ্কন আউট হলে ভাঙে ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি। শেষে হোল্ডার ৫ বলে ১২ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ২ বলে ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। 

খুলনার প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে শুধু মোহাম্মদ নাঈম শেখ দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেন। ২২ বলে ১৯ রান করেন নাঈম শেখ। চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন বিনুরা ফার্নান্দো। 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়