ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শচীনের গৌরবের নতুন মানদণ্ড সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১৬ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১৭:১৩, ১৬ মার্চ ২০২৫
শচীনের গৌরবের নতুন মানদণ্ড সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি

অলৌকিক ঘটনা খুবই বিরল। তবে ক্রিকেটে ‘ঈশ্বর’ নিজে (শচীন টেন্ডুলকর) এগুলোকে যেন সাধারণ ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছিলেন। তার গৌরবময় ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসংখ্য মাইলফলক ছোঁয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। তবে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এখনো তার সেরা অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম।

২০১২ সালের এই দিনে (১৬ মার্চ), ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ এক অভূতপূর্ব কীর্তি গড়েছিলেন এবং ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় এক মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন:

সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ঘটেছিল ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। ১৬ মার্চ, বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময় টেন্ডুলকর সেই স্বপ্নের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। তার ঐতিহাসিক অর্জনের সাথে সাথে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে, আর এই মহাকাব্যিক কীর্তি চিরদিনের জন্য ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়।  

শততম সেঞ্চুরিতে মাস্টার ব্লাস্টারের ইতিহাস:
ক্রিকেট দুনিয়ায় শচীন টেন্ডুলকরের উত্তরাধিকার অমলিন। তার অসংখ্য রেকর্ডের মাঝে, ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এখনো গর্বের এক স্মরণীয় অধ্যায়। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে তিনি এই অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে তিনি এক স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন এবং চিরকালীন মহিমার অংশ হয়ে যান।  

ভারতের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন টেন্ডুলকর ও গম্ভীর। গম্ভীর দ্রুত ফিরে গেলে, মাস্টার ব্লাস্টার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন।  

ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসেও তিনি ইতিহাস লিখতে থামেননি। এক বছর অপেক্ষার পর, অবশেষে তিনি ১৪৭ বলে ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নিজের ৪৯তম ওয়ানডে শতক পূর্ণ করেন। আর এর সাথেই তিনি স্পর্শ করেন সেই স্বপ্নের ১০০তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। এটি শুধুই ব্যক্তিগত সাফল্য ছিল না, বরং খেলায় শ্রেষ্ঠত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

শচীনের ১১৪, কোহলির ৬৬ ও সুরেশ রায়নার ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৫ উইকেটে ২৮৯ রান সংগ্রহ করে।

শচীনের অনন্য রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে ভারতের হার:  
টেন্ডুলকরের অসাধারণ সেঞ্চুরি এবং বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নার কার্যকরী ইনিংস সত্ত্বেও বোলিং ব্যর্থতায় জয় হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের। ২৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে নাজিমউদ্দিন আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ভারতকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

তামিম ইকবাল (৭০), জহিরুল ইসলাম (৫৩), নাসির হোসেন (৫৪), সাকিব আল হাসান (৪৯) ও মুশফিকুর রহিমের (৪৬*) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে ভারতীয় বোলাররা চাপে পড়ে যায়।

কঠিন সময়েও প্রভীন কুমার ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, আর অশ্বিন ও জাদেজা ১টি করে উইকেট নেন। তবে দুর্দান্ত সূচনা সত্ত্বেও, শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় ভারতকে, যা ছিল এক হৃদয়বিদারক পরাজয়।

৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়