রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দ. আফ্রিকাকে হারাল বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দল রানের পাহাড় গড়েছিল রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছিল ৩০২ রান। বাংলাদেশও দেয় কড়া জবাব। শেষটায় ছড়ায় রোমাঞ্চ, উত্তেজনা।
শেষ ৬ বলে ৭ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের শেষটায় ছিল চরম নাটকীয়তা। নখ কামড়ানো এক ম্যাচ উপহার দিয়ে বাংলাদেশ শেষ লড়াইটা জিতে নেয়।
২ বল আগে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তোফায়েল আহমেদ ও রাকিবুল হাসান। ৩ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল এগিয়ে গেল সিরিজে।
রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দ. আফ্রিকাকে হারাল বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দল রানের পাহাড় গড়েছিল রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছিল ৩০২ রান। বাংলাদেশও দেয় কড়া জবাব। শেষটায় ছড়ায় রোমাঞ্চ, উত্তেজনা।
শেষ ৬ বলে ৭ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের শেষটায় ছিল চরম নাটকীয়তা। নখ কামড়ানো এক ম্যাচ উপহার দিয়ে বাংলাদেশ শেষ লড়াইটা জিতে নেয়।
২ বল আগে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তোফায়েল আহমেদ ও রাকিবুল হাসান। ৩ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল এগিয়ে গেল সিরিজে।
বিস্তারিত আসছে…
পেসার টিয়ান মাইকেল ভুরেনের শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার প্রথম বলটি ওয়াইড করেন। কিপার বল ঠিকমতো তালুবন্দি করতে না পারায় বাড়তি এক রান পায় বাংলাদেশ। পরের ফুলটস বল তোফায়েল উড়িয়ে মেরেছিলেন। বল হাওয়ায় ভেসে সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে ফিল্ডার দারুণ দক্ষতায় বল ফিরিয়ে দেয়। ফলে ১ রানের বেশি পায়নি বাংলাদেশ। পরের বলে রাকিবুল নেন ২ রান। তৃতীয় বলে কিপারের মিস ফিল্ডিংয়ে আরো ১ রান পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ বলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তোফায়েলের বাউন্ডারিতে।
বাংলাদেশের জন্য এর আগের ওভারেও সমীকরণ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ২৬ রান। আন্দ্রে চার্লসের ওভারে রাকিবুল দুটি ও তোফায়েল এক ছক্কা মেরে সমীকরণ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনেন। শেষে তাদের ঝড়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে।
রাকিবুল ১০ বলে ৩ ছক্কায় ২৪ এবং তোফায়ের ২০ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় সমান ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন। ডানহাতি ওপেনার ৮৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রান করেন। এছাড়া জিসান আহমেদ ২৭ বলে ৩১, আরিফুল ইসলাম ৩৬ রান করেন। অধিনায়ক আকবর আলীও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান। ২৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করেন।
এর আগে বাংলাদেশের বোলিং তেমন একটা যুৎসই হয়নি। ওপেনার রিপন মণ্ডল ৩ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৮৪। তার করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২৩ রান নেয় প্রোটিয়া যুবারা। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন আহরান আমিন পিয়ান।
প্রোটিয়া ইমার্জিং দলের হয়ে কনর বয়ড ৭১ ও আন্দ্রিলে অস্টিন ৬১ রান করেন। এছাড়া ডেওয়ান মারাইস ৩১ ও মেকা ইলের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। শেষ দিকে তিহান মাইকেলের ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংসে তিনশ পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বাংলাদেশের দারুণ ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের মুখে শেষ হাসিটা আর থাকেনি।
আগামী ১৪ মে একই মাঠে সিরিজে দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল