বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়ে আমিরাতের ইতিহাস
বাংলাদেশ: ১৬২/৯ (২০ ওভার)
আমিরাত: ১৬৬/৩ (১৯.১)
ফল: আমিরাত ৭ উইকেটে জয়ী
তিন উইকেট পতনের পর জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আলিশান-আসিফ। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৮৭ রান। তাতেই নিশ্চত হয় ৭ উইকেটের বড় জয়। সঙ্গে সিরিজ নিশ্চিত হলো ২-১ ব্যবধানে। এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়লো আমিরাত। আলিশান ৬৮ ও আসিফ ৪১ রানে অপরাজিত।
আমিরাতের হিসেবি ব্যাটিং
ক্যালকুলেটিভ তথা হিসেবি ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে আমিরাত। এখন পর্যন্ত তিন উইকেট উইকেট পড়লেও রানের চাকা সচল রেখেছে দলটি। ১৩ ওভারে দলটি শতরান পূর্ণ করে। ৩৮ বলে ফিফটির দেখা পান আলিশান। এরপরেই জুটির ফিফটি হয় ৩২ বলে।
রাহুলকে ফেরালেন তানজীম
তানজীমকে ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রাহুল। দারুণ ক্যাচ নেন শামীম। ১৩ বলে ১৩ রান করেন রাহুল। ক্রিজে আলিশানের সঙ্গী আসিফ।
বোলিংয়ে এসেই রিশাদের উইকেট
ওয়াসিমের পতনের পর জুটি গড়ে এগোচ্ছিলেন জোহাইব-আলিশান। বোলিংয়ে এসেই জোহাইবকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। বোল্ড হন এই ব্যাটার। ২৯ রান করেন জোহাইব। তার আউটে ভাঙে ৪৪ রানের জুটি। ক্রিজে আলিশানের সঙ্গী রাহুল।
শুরুতেই ওয়াসিমকে ফেরালেন শরিফুল
শুরুতেই ওয়াসিমকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন শরিফুল। আগের দুই ম্যাচেই ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছিলেন ওয়াসিম। এই ম্যাচে আর পারেননি। আউটসাইড অফের বল কাভারে খেলতে গিয়ে খোঁচা দেন। বল চলে যায় স্লিপে থাকা তানজীদের হাতে। ৬ বলে ৯ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। ক্রিজে জোহাইবের সঙ্গী আলিশান।
হাসান-শরিফুলের ১২ বলের ঝড়, ১৬৩ রানে থামলো বাংলাদেশ
৮৪ রানে যখন ৮ উইকেটের পতন হয় তখন একশ হবে কী না তার নিশ্চয়তা ছিল না। সেখান থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৬২ রান করে। অষ্টম জুটিতে জাকের-হাসান যোগ করেন ২৬ বলে ৪৪ রান। জাকের আউট হওয়ার পর হাসান-শরিফুল ১২ বলে ৩৪ রান যোগ করে দেড়শ পার করেন। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে জাকেরের ব্যাট থেকে। ৪০ রান করেন তানজীদ। হাসান ২৬ ও শরিফুল ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জাকেরের ৪১
উইকেটের মিছিলে এক প্রান্তে আগলে রেখে একাই খেলছিলেন জাকের আলী। থিতু হয়ে মারার চেষ্টা করেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রান। সগির খানের বলে আউট হওয়ার আগের বলেও হাঁকিয়েছেন ছক্কা। ১টি চার ও ৩টি ছয়ে ইনিংসটি সাজান জাকের। ক্রিজে হাসানের সঙ্গী শরিফুল।
বাংলাদেশের ১০০
কোনোমতে টেনেটুনে শতরান পার করেছে বাংলাদেশ। জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে ১৬.২ ওভারে বাংলাদেশ শতরানের দেখা পায়।
আমিরাতের বিপক্ষে ধুঁকছে বাংলাদেশ
একই ওভারে বিদায় নিলেন শামীম-রিশাদ। বিপদের মুহুর্তে শামীম-জাকের জুটি আশা বাড়াচ্ছিল। কিন্তু না। মতিউল্লাহর আউট সাইড অফের বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৯ রান। এরপর ক্রিজে এসে দুই বল পর মতিউল্লাহর শিকার হন রিশাদ। বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে জাকের আলীর সঙ্গী তানজীম।
তানজীদের বিদায়
স্রোতের বিপরীতে দারুণ খেলছিলেন তানজীদ। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না। উলটো তার আউটে আরও বিপদ বাড়ে। আকিফের বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন এই বাঁহাতি। তার ব্যাট থেকে সমান ৪টি করে চার-ছয়ের মারে ১৮ বলে ৪০ রান আসে। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার জাকের আলী-শামীম।
শেখ মেহেদীর ৯ বলে ২
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একাদশে ফেরেন সহ-অধিনায়ক মেহেদী। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থ। প্রথম ৭ বল খেলে শূন্য। অষ্টম বলে উড়িয়ে মেরে ২ রান। এরপর হায়দার আলীর ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। যেন বুঝতেই পারেননি কী করবেন। ৯ বলে ২ রান আসে মেহেদী ব্যাট থেকে।
ওভারে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ
হায়দার আলীর করা চতুর্থ ওভারে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বল পায়ে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ক্রিজে এসে এক বল ডট দিয়ে শুন্য রানে ফেরেন হৃদয়। হায়দারের কুইকারে অন সাইডে খেলতে গিয়ে মিস করেন হৃদয়। বল পায়ে লাগলে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। ক্রিজে একাই লড়ছেন তানজীদ। তার সঙ্গী শেখ মেহেদী।
ইমনের গোল্ডেন ডাক
সেঞ্চুরির পর ইনজুরির জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পাননি। তৃতীয় ম্যাচে এসেই গোল্ডেন ডাক পারভেজ হোসেন ইমন। পারশারের বলে লং অফে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন। বাংলাদেশ ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায়।
একাদশে তিন পরিবর্তন, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-আরব আমিরাত। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খেলাটি শুরু হবে। সিরিজে ১-১ সমতা থাকায় দুই দলের সামনেই থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ।
বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন
ওপেনিং ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান ও পেসার হাসান মাহমুদ একাদশে এসেছেন। বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, নাহিদ রানা ও তানভীর ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদি হাসান, হাসান মাহমুদ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একাদশ
মোহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আলিশান শারাফু, আকিফ রাজা, ইথান ডি, সোজা, আসিফ খান, ধ্রুভ পারাশার, হায়দার আলি, মাতিউল্লাহ খান, মোহাম্মদ জোহাইব, রাহুল চোপড়া (উইকেটরক্ষক), সাঘির খান।
ঢাকা/রিয়াদ