ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৩০ মে ২০২৫   আপডেট: ০০:৩২, ৩১ মে ২০২৫
পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ

স্কোর: পাকিস্তান ২০১/৬ (২০ ওভার), বাংলাদেশ ১৪৪/১০ (১৯ ওভার)

ফলাফল: পাকিস্তান ৫৭ রানে জয়ী

আরো পড়ুন:

সিরিজ: ২-০ ব‌্যবধানে পাকিস্তানের সিরিজ জয় 

বাংলাদেশকে ৫৭ রানের বিশাল ব‌্যবধানে হারিয়ে এক ম‌্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব‌্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ১৪৪ রানের বেশি করতে পারেননি। শরিফুল চোট পাওয়ায় ব‌্যাটিংয়ে নামেনি। 

সায়েম আইয়ুবের বল হারিসের গ্লাভসবন্দী হওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা কেবল শেষ হলো। তানজিম হাসান সাকিব আউট। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র ফিফটি করা তানজিম ৫০ রানে আউট হলে বাংলাদেশের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। অথচ এই ম্যাচের সব আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই। 

২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওই সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ৭৮। সেখান থেকে ফিফটি ছোঁয়া তানজিদ লড়াই করে জবাব দেন। কিন্তু বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে। তাইতো একতরফা ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নিল পাকিস্তান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছেও সিরিজ খোয়াল।  

৫ ছক্কায় তানজিমের ফিফটি

দলের প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে তখন একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালালেন তানজিম হাসান সাকিব। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে সামান্য জবাব দিচ্ছিলেন। ব্যাট হাতে সেই ধারাবাহিকতায় তানজিম তুলে নেন ফিফটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রথম ফিফটি। ২৯ বলে ফিফটি পেতে ১ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান তানজিম। 

টিকলেন না মিরাজও

সবশেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিলেন মিরাজ। তাকে ফেরালেই পাকিস্তানের আর কোনো বাধা থাকবে না। খুশদীল শাহ দলের হয়ে কাজটা করে দিলেন। বাঁহাতি স্পিনারকে এগিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন একাদশে ফেরা মিরাজ। টাইমিংয়ে গড়বড় করলেন। শর্ট থার্ডে ক্যাচ দিয়ে মিরাজ ফিরলেন সাজঘরে। ১৭ বলে ২ চারে মাত্র ২৩ রান করেন মিরাজ। ১১০ রানে বাংলাদেশ হারাল অষ্টম উইকেট। 

ব্যাটিং বিপর্যয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কা

হ্যাটট্রিক বলটি শামীম যেভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছিলেন মনে হচ্ছিল দলের হাল ধরতে পারবেন। কিন্তু ওই এক শটেই সব শেষ। বেশিদূর যেতে পারেননি।

আবরারের বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটের সীমানায় ধরে পড়েন। ৯ বলে ৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। টিককে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেনও। আরেক লেগ স্পিনার শাহাদ খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১ রানে। ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ। 

৫ বলে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের

প্রথমে লিটন দাস। তাকে অনুসরণ করলেন তাওহীদ হৃদয়। তালিকায় যোগ দিলেন জাকের আলী। ৫ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশের ৩ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। এ সময়ে রান যোগ হয়েছে মাত্র ২। 

হাসান আলীর বলে লিটন নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে। পরের ওভারে লেগ স্পিনার আববার বোলিংয়ে আসেন। নিজের তৃতীয় বলে তাওহীদকে এলবিডব্লিউ করেন। তার বলে স্লগ খেলতে গিয়ে বল মিস করেন তাওহীদ (৫ বলে ৫ রান)। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলী প্রথম বলেই আউট। আবরারের গুগলিতে পরাস্ত হন জাকের। 

হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা হলেও নতুন ব্যাটসম্যান শামীম আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন। তাইতো উইকেট থেকে সরে বল বাউন্ডারিতে পাঠান চোখের পলকে। 

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ এখন ব্যাকফুটে। ৮ ওভার শেষে ৬৩ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।  

হাল ধরতে পারলেন না লিটন

পাওয়ার প্লে’ শেষ বলে লিটন নিজের উপহার দিয়ে আসলেন পাকিস্তানকে। হাসান আলীর অফস্টাম্পের বাইরের বল টেনে মিড অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃত্তের ভেতরে হারিস রউফের হাতে ধরা পড়েন ৯ বলে ৬ রান করা লিটন। 

আউট হওয়ার আগের বলে তাওহীদকে ১ রান নেওয়ার জন্য ডাক দিয়েছিলেন। ক্রিজের মাঝে গিয়ে ফিরে আসতে হয় তাকে। চোখে মুখে রাগ প্রকাশ করেন। পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দলকে বিপদে ফেললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। আউট হয়ে ব্যাটও ছুঁড়ে মারেন।

পাওয়ার প্লে’তে তানজিদ-লিটনও সাজঘরে

শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন তানজিদ। মনে হচ্ছিল দিনটা হতে পারে তার। কিন্তু বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলের হাল ধরতে পারলেন না বাঁহাতি ওপেনার। ফাহিম আশরাফের বল উড়াতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। ১৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি তানজিদ।

বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়। শুরুতে যেভাবে রান হচ্ছিল সেভাবে পাওয়ার প্লে’তে রান হলো না। ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান কেবল ৫৪। জয়ের জন‌্য ১৪৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।  

হাসল না পারভেজের ব‌্যাট

বোলিংয়ে এসে পাকিস্তানকে সাফল্য উপহার দিলেন হারিস রউফ। ডানহাতি পেসারের বল উড়াতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। এদিন তার ব্যাট হাসেনি। ৭ বলে ৮ রান করেন মাত্র। বাংলাদেশ হারাল প্রথম উইকেট। নতুন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক লিটন। 

তানজিদ ঝড়ে বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা

বিশাল লক্ষ‌্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। ২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩২। 

প্রথম ওভারে স্পিনার সালমান আগাকে ২ চার ও ১ ছক্কা উড়ান তানজিদ হাসান। কাট করে পয়েন্ট দিয়ে চার মারার পর ডাউন দ্য উইকেটে এসে বল লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান। এরপর ইনসাইড আউট শটে সবাইকে মুগ্ধ করে ডিপ কাভার দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। প্রথম ওভারে বাংলাদেশ ১৭ রান পায়। সব রানই এসেছে তানজিদের ব্যাটে। দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলী দিয়েছেন ১৫ রান। এই ওভারে তানজিদ ২টি চার পেয়েছেন।  

আবারও বাংলাদেশের টার্গেট ২০২ রান

১৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৬১। শেষ ৩০ বলে ঝড় তুলে দলের রান দুইশর ঘরে নিয়ে যাবে নিশ্চয়ই এমন পরিকল্পনা ছিল স্বাগতিকদের। 

কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ লড়াইয়ে পাকিস্তান ঝড় তুলতে পারেনি। তবে দুইশর ঘরে পৌঁছেছে। শেষ ৫ ওভারে বাউন্ডারি ছুট হলো না। মাত্র ২ চার মারতে পেরেছেন ব্যাটসম্যানরা। ছক্কা হয়েছে ১টি। উইকেট হারিয়েছে ৩টি। স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৪০ রান। তাতে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ২০১।

প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তান ২০১ রানের পুঁজি পায়। ম্যাচ জেতে ৩৭ রানে। এবার ২০১ রান নিয়েও জয়ের আত্মবিশ্বাস পাবে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। 

দলের রান দুইশর ঘরে নিয়ে যান হাসান নওয়াজ। সবশেষ পিএসএলের টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ২৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেন। প্রথম ম্যাচেও ৪৪ রান করে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছিলেন হাসান। এবার পেলেন ফিফটি। নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে তার একটি সেঞ্চুরিও আছে।  

বাংলাদেশের হয়ে হাসান ও তানজিম ২টি করে উইকেট নেন। ১ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। একাদশে ফেরা মিরাজ ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূণ‌্য। 

পাকিস্তানের অধিনায়ককে ফেরালেন হাসান

দারুণ এক ইয়র্কার বলে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগাকে ফেরালেন হাসান মাহমুদ। তার ইয়র্কার বল উইকেট থেকে সরে র্যাম্প শট খেলতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু বল মিস করে এলবিডব্লিউ হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ১২ বলে ১৯ রান করেন তিনি। পাকিস্তান হারাল চতুর্থ উইকেট। 

রিশাদ থামালেন শাহিবজাদাকে

অবশেষে আউট হলেন শাহিবজাদা। দুইবার জীবন দিয়েও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় বেঁচে যান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় রান করছিলেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছিলেন। তাকে থামানোর দায়িত্বটা নিজ কাঁধে নেন রিশাদ।

উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে পাকিস্তানের ওপেনারকে তালুবন্দি করান রিশাদ। ৪১ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৪ রান করেন শাহিবজাদা। পাকিস্তান হারাল তৃতীয় উইকেট। 

১০৩ রানের জুটি ভাঙলেন তানজিম

বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন শাহিবজাদা ও হারিস। একই ছন্দে দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়েন তারা।

শাহিবজাদা ফিফটি পেলেও হারিসকে ফিফটির আগে থামিয়ে দেন তানজিম হাসান। ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করে পয়েন্টে রিশাদের হাতে ক্যাচ দেন হারিস। 

পাকিস্তানের শতরান

দশম ওভারে রিশাদকে পরপর দুই দলে দুই ছক্কা উড়ালেন শাহিবজাদা। দ্বিতীয় ছক্কায় ৯৯ থেকে পাকিস্তানের দলীয় রান শতরান পেরিয়ে যায়। ৯.৩ ওভারে পাকিস্তান শতরানের দেখা পায়।

আবার জীবন পেলেন শাহিবজাদা

শূন্য রানে প্রথম জীবন পেয়েছিলেন শাহিবজাদা। ৫১ রানে পেলেন দ্বিতীয়বার। প্রথমবার মিরাজের বলে ক্যাচ ছেড়েছিলেন তানজিদ। এবার রিশাদের বলে ক্যাচ মিস করলেন মিরাজ। প্রথম জীবন দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ফিফটি পেয়েছেন শাহিবজাদা। ডানহাতি ওপেনার এবার কতদূর যায় সেটাই দেখার।

২৯ বলে শাহিবজাদার ফিফটি

ক্যারিয়ারের দশম টি-টোয়েন্টি ইনিংসে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন শাহিবজাদা। শূন্য রানে জীবন পাওয়ার পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসটি বড় করছেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। ২৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। 

পাওয়ার প্লে’তে শাহিব

জাদা-হারিস ঝড়মেহেদী হাসান মিরাজকে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা। শর্ট অব লেন্থ বল জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা। পরের ওভারে হাসান মাহমুদকে ড্রাইভ করে দুই চার। ওই ওভারেই হাসানকে মিড উইকেট দিয়ে উড়ান ছক্কা। রেশ ছিল পরের ওভারেও। তানজিম হাসানের শর্ট বলও পুল করে সীমানার বাইরে পাঠান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শূন্য রানে জীবন পাওয়ার পর পাওয়ার প্লে’তে ঝড় তুললেন শাহিবজাদা। তাকে অনুসরণ করেন হারিসও। হাসান মুরাদকে পরপর তিন চার হাঁকান। 

পাওয়ার প্লে’তে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ৬৭। শাহিবজাদা তুলেছেন ৩৯ রান। ৩টি করে চার ও ছক্কা এসেছে তার ইনিংসে। হারিস ১০ বলে করেছেন ২৩। ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। 

রান আউটে বাংলাদেশের প্রথম সাফল‌্য

স্পিনার শামীমের বল পুল করে লং অনে পাঠিয়েছিলেন সায়েম। তাওহীদ বলের পেছনে ছুটছিলেন। সীমানায় গিয়ে বল আটকে দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচান। এরপর তার বিশাল থ্রো একেবারে লিটনের গ্লাভসে যায়। যা কল্পনাও করতে পারেননি সায়েম ও শাহিবজাদা। তৃতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় দুজনের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির ‍সৃষ্টি হয়। লিটন যখন স্টাম্প ভাঙেন তখন সায়েম ক্রিজের মাঝে। রান আউটে বাংলাদেশ পায় প্রথম সাফল‌্য।  

মাঠ ছাড়লেন শরিফুল

তিন বল করে মাঠ ছাড়লেন পেসার শরিফুল ইসলাম। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন। শুরুর দুই দল দারুণ করেছিলেন। হাল্কা সুইংও পাচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় বল করার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গ্রোয়েনে টান পড়ার কারণে ব‌্যথা অনুভব করতে পারেন। তার ওভারের বাকি বল করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। 

মিরাজের বলে জীবন পেলেন শাহিবজাদা

একাদশে ফিরে প্রথম ওভার করার জন্য বল হাতে পান মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু ডিপ কাভারে বল তালুবন্দি করতে পারলেন না তানজিদ হাসান। তাতে উইকেট বঞ্চিত হন মিরাজ। 

মিরাজের হাওয়ায় ভাসানো বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করেন। বল বৃত্তের একটু বাইরে যায়। তানজিদ পেছনে দৌড়ে ডাইভ দিয়েছিলেন। কিন্তু বল হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। ওই ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে বাউন্ডারির খাতা খোলেন শাহিবজাদা। 

মেহেদী আউট, মেহেদী ইন

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। অফস্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানের জায়গায় ফিরেছেন আরেক অফস্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। 

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মুরাদ ও শরিফুল ইসলাম। 

পাকিস্তান একাদশ: হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুশদীল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ, সালমান আলী আগা, শাহিবজাদা ফারহান, সায়েম আইয়ুব ও মোহাম্মদ হারিস।

টস জিতে ব‌্যাটিংয়ে পাকিস্তান, একাদশে মিরাজ

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টস জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা ব‌্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

ক্রিকেট বোর্ডে নতুন সভাপতি 

অস্থির সময় কাটাচ্ছে দেশের ক্রিকেট। হুট করে ফারুক আহমেদ হারিয়েছেন বিসিবির হট সিট। তাকে সরিয়ে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তার জায়গায় এসেছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সভাপতি হিসেবে আজ বিকেলেই দায়িত্ব নিয়েছেন। বোর্ড পরিচালকদের ভোটে ক্রিকেট বোর্ডের ১৭তম প্রধান হলেন তিনি।

ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?

৩৭ রানে প্রথম ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের অসাধারণ জয়ে একেবারে নাজেহাল হয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ফ্লপ ছিল লিটন অ্যান্ড কোং। আজ হারলেই সিরিজ শেষ বাংলাদেশের। 

নতুন এই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। আজ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ধাক্কা খেয়েছিল দল। প্রথম ওয়ানডেতেও মেলেনি প্রত্যাশিত ফল। এবার যদি সিরিজও খোয়াতে হয় তাহলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। 
 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়