ইনিংস ব্যবধানে হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ২৪৭/১০ ও বাংলাদেশ: ১৩৩/১০
শ্রীলঙ্কা: ৪৫৮/১০
ফল: শ্রীলঙ্কা ইনিংস ও ৭৮ রানে জয়ী।
বাংলাদেশ যখন দিন শুরু করে হাতে চার উইকেট। পঞ্চম বলে লিটনের আউটে ইনিংস হারের শঙ্কা যেন সত্যি হয়ে যায়। নাঈম-তাইজুলরা পারলেন না। ৩০ মিনিট না হতেই অলআউট বাংলাদেশ। ২১১ রানের লিড মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে ১৩৩ রানে অলআউট! ফল ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হারে। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতাই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফিক। আর কেউ বিশের বেশি করতে পারেননি। প্রভাত জয়সুরিয়া একাই ৫ উইকেট নেন।
শুরুতেই আউট লিটন
চতুর্থ দিনের পঞ্চম বলেই সাজঘরে লিটন। অথচ বাংলাদেশের ভরসা ছিলেন তিনি। জয়সুরিয়ার বলে খোঁচা দেন এই ব্যাটার। মাত্র ১ রান করতে পারেন আজ। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। লিটনের আউটের পর ইনিংসের হারের শংকা যেন আরও ঘনীভূত হলো। ক্রিজে নাঈমের সঙ্গী তাইজুল।
বাংলাদেশের দিন শুরু
কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এর আগে তিনটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ফলাফল— তিনটিতেই পরাজয়। এর মধ্যে দুইটিই ছিল ইনিংস ব্যবধানে। দীর্ঘ ১৮ বছর পর আবার কলম্বোয় ফিরেই যেন সেই পুরনো দুঃস্বপ্নে পা রাখছে বাংলাদেশ। একমাত্র ভরসা লিটন ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেন।
তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস হারের শঙ্কা
তারিন্দুর করা ৩৯তম ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন মিরাজ। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে সেটি শ্রীলঙ্কার পক্ষে যায়। মিরাজ আউট হন ১১ রানে। এরপরেই তৃতীয় দিনের খেলার ইতি ঘটে। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে আছেন শুধু লিটন। তিনি অপরাজিত ১৩ রানে। এর আগে মুশফিক ফেরেন ২৬ রানে। এতে দলের বিপদ বাড়ে বেশি। এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৯৬ রানে। হাতে মাত্র ৪ উইকেট। শংকা দিচ্ছে ইনিংস পরাজয়ের। দুটি করে উইকেট নেন প্রভাত-ধনাঞ্জয়া আর ১টি করে উইকেট নেন আসিথা-তারিন্দু।