ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সংবর্ধনার পাশাপাশি ক্ষোভও ঝরল কণ্ঠে

আমিনুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ২২ মার্চ ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংবর্ধনার পাশাপাশি ক্ষোভও ঝরল কণ্ঠে

প্ল্যাকার্ড হাতে দর্শক

ক্রীড়া প্রতিবেদক, বিমান বন্দর থেকে ফিরে : বাংলাদেশ দলকে বহনকারী বিমান রাত পৌনে ৮টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে। কিন্তু দুপুর থেকেই বিমান বন্দরের আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ক্রিকেট ভক্তরা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দর্শক। এমন অনেক সংগঠন থেকে সমর্থকরা এসেছেন যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। দেখতে পান না। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি, ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের টান অন্য রকম। তাই ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাতে বিমান বন্দরে এসে হাজির হয়েছেন।

 

কারো হাতে বাংলাদেশের পতাকা। কারো গালে আঁকা। কারো হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন। এসবে বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানানোর বক্তব্য লেখা। আবার কোনটিতে ভারত ও আইসিসিকে কটাক্ষ করে লেখা বক্তব্য।
বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কণ্ঠে ক্ষোভও ঝরেছে।

 

 

ঢাকা কলেজের ছাত্র রুবেল হোসেন রাফিম বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি বাংলাদেশ দলকে চিয়ার আপ করতে। তারা বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছে। বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানাতে সেই দুপুর থেকে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু খারাপ লাগছে না। তবে সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল। আপনারা দেখেছেন কীভাবে বাংলাদেশ দলকে জোর করে হারানো হয়েছে সেদিন। আম্পায়াররা ওভাবে জোচ্চুরি না করলে আজ আমরা হয়তো সেমিফাইনাল খেলতাম।’

 

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল ৫টায় আসবে জানতাম। কিন্তু এখানে এসে শুনি ৭টায় আসবে। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশকে দলকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। তারা এবারের বিশ্বকাপে যা খেলেছে তাতে তাদের অভিনন্দন না জানালে অন্যায় হবে। সবার সঙ্গে এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’

 

মিরপুর থেকে আসা মোজ্জামেল হক বলেন, ‘টাইগারদের অভিনন্দন জানাতে এসেছি। আম্পায়াররা সেদিন আমাদের সঙ্গে ইনজাস্টিস না করলে আজ হয়তো আমাদের এখানে আসতে হত না। ভারতের বিপক্ষে আমরা কখনোই হারতাম না। আম্পায়াররা ভারতের হয়ে কতগুলো ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেটা না হলে আজ আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতাম। যাই হোক টাইগারদের পারফরম্যান্সে আমরা খুবই খুশি। আশা করছি ভবিষ্যতেও তারা এভাবে পারফরম্যান্স করবে।’

 

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট ভক্তদের বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তোলেন বিমান বন্দর এলাকা। পাশাপাশি তারা আইসিসি ও ভারতকে কটাক্ষ করেও স্লোগান দেন। তাদের স্লোগানে ঝরে পড়ে ক্ষোভের আগুন। যে আগুন আম্পায়াররা জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন ১৯ মার্চ বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মনে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মার্চ ২০১৫/আমিনুল/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়