ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সমুদ্রমন্থনের দ্বিতীয় পর্ব, কিন্তু অমৃত?

সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সমুদ্রমন্থনের দ্বিতীয় পর্ব, কিন্তু অমৃত?

রহমান সিদ্দিক :



দ্বিতীয় পর্বের সমুদ্রমন্থন শুরু হচ্ছে। এবার বাংলাদেশে। সে একই কায়দায়, একই নিয়মে। যেমনটা হয়েছিল প্রাচীনকালে। এই ভারতভূমে। মহাভারত নামক মহাগ্রন্থ আজো তার সাক্ষ্য দেয়। পুরাণ নিছক কল্পকাহিনি নয়, এসবের মধ্যে ইতিহাসের উপাদানও আছে ঢের। সত্যের রূপ যেহেতু বহুমাত্রিক, পুরাণে এসব সত্য এসেছে ভিন্ন রূপ নিয়ে। তেমনি এক রূপ সমুদ্রমন্থন, যা থেকে আজকের মহাতীর্থ কুম্ভমেলার জন্ম।

 

কী সেই কাহিনি? ব্রহ্মা বহুজাতিক কোম্পানির দুই মহারথি বিষ্ণু ও ইন্দ্রকে নির্দেশ দিলেন সমুদ্রমন্থনের। সে অনুযায়ী দক্ষপন্থি আর্যদেবতা (বর্তমানে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ) ও শিবপন্থি অসুরদের (ভূমিপুত্র বা তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকবৃন্দ) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী সমুদ্রমন্থন করে যা পাওয়া যাবে, তা দুই পক্ষ সমান ভাগে ভাগ করে নেবে। তবে অসুরেরা অতিরিক্ত পাবে লক্ষ্মীকে (উন্নয়ন)। উভয়পক্ষের সমঝোতায় নাগরাজ বাসুকি মন্থন রজ্জু ও মন্দার পর্বত মন্থনদণ্ড (বহুজাতিক কোম্পানির যন্ত্রপাতি) হতে রাজি হলেন। শুরু হলো মন্থন। বাসুকির বিষাক্ত নিশ্বাস আর সমুদ্র থেকে উঠে আসা বর্জ্যে মানুষ ও প্রাণিকুল ধ্বংস হতে থাকল। এবার ডাক পড়ল ভূমিপুত্রদের নেতা শিবের। ব্রহ্মার নির্দেশে তিনি এসব বিষ পান করে হলেন নীলকণ্ঠ। রক্ষা পেল মানুষ ও প্রাণিকুল। মন্থন চলছে। একে একে নানা মূল্যবান জিনিস উঠে আসছে। দেবতারা এর সবই করায়ত্ত করছে। অসুরদের সেসবে খেয়াল নেই। তাদের দরকার লক্ষ্মী। একটু পর লক্ষ্মী উঠলেন। অসুরেরা তাকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। তার একটু পরেই দেববৈদ্য ধন্বন্তরী সমুদ্র থেকে উঠে আসলেন ভা-ারভর্তি অমৃত (তেল-গ্যাস) নিয়ে। করপোরেট সেক্টরের সিইও ইন্দ্র তার ছেলে জয়ন্তকে বললেন অমৃত নিয়ে পালিয়ে যেতে। ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত অমৃতকুম্ভ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আর এ ঘটনা দেখে ফেললেন ভূমিপুত্রদের আরেক নেতা শুক্রাচার্য (বামপন্থি সংগঠনগুলো)। ভূমিপুত্রদের উসকানি দিলেন জয়ন্তকে ধরতে। শুরু হয় জয়ন্তের পেছনে ধাওয়া। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অসুরদের আরেক নেতা রাহু সামান্য অমৃত গিলে ফেললেন। এ খবর রটিয়ে দিলেন আকাশ থেকে চন্দ্র-সূর্য (গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ)। কণ্ঠদেশ পর্যন্ত অমৃত পৌঁছানোর আগেই বিষ্ণু তার চক্র দিয়ে রাহুর মুণ্ডচ্ছেদ করলেন। এরই মধ্যে অমৃতের মালিকানা নিয়ে দেবাসুর যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে যখন দেবতাদের পরাজয় সুনিশ্চিত তখন বিষ্ণু ছদ্মবেশে এসে মায়া বিস্তার করে অসুরদের হারিয়ে দিলেন। ভূমিপুত্ররা চিরকালের জন্য অমৃতবঞ্চিত হলো।

 

এই হলো সমুদ্রমন্থনের মোটামুটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। এখন প্রশ্ন হলো কে এই বিষ্ণু? সম্প্রতি ফরচুন সাময়িকপত্রে আমাজনের সিইও জেফ বেজসকে বিষ্ণু সাজিয়ে প্রচ্ছদ করা হয়েছে। ভারতের করপোরেট সেক্টরের আরেক মহারথি ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও বিষ্ণুর মতো বানিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ভারতে আরো তো দেবতা ছিল। করপোরেট সেক্টরের প্রধান পছন্দ বিষ্ণুকে কেন? এর উত্তর জার্মান সমাজতাত্ত্বিক কার্ল মার্ক্স তার ‘পুঁজি’ নামক গ্রন্থে দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিষ্ণুকে একজন পুঁজিপতি বলেছেন (বিষ্ণু ওয়াজ অ্যা ক্যাপিটালিস্ট)।

 



সবক্ষেত্রেই বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের শরীরটি ধ্বংস হয়ে গেলেও সরকার তার অবস্থানে অনড়। কিন্তু মন্ত্র তো যা মনকে ত্রাণ করে। কাদের মনকে ত্রাণ করার জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিনা টেন্ডারে সমুদ্রমন্থনের পায়তারা করছে সরকার। গত ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার দৈনিক সমকালের প্রধান খবর ছিল, বিনা প্রতিযোগিতায় গভীর সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য পাঁচটি ব্লক বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১০ সালে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য প্রণীত বিশেষ আইনের ক্ষমতাবলে এই কাজ দেওয়া হবে।

 

সমকালের খবর থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রণীত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ বিধানের ‘আদালত, ইত্যাদির রহিতকরণ’ অনুচ্ছেদে বলা বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন বিবেচিত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো ধরনের আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাবে না।

 

প্রশ্ন হলো কাদের স্বার্থে সরকারের এই কঠোর নীতি। জনগণ বিশেষ আইনের বলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘানি টানছে চড়া মূল্য দিয়ে। বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে দেশবাসীর সাময়িক মুক্তি মিলেছে সত্যি, কিন্তু এ খাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি ও লুটপাট হচ্ছে তার হিসেব কে রাখবে? অন্ধকার দূর করতে আলোর দরকার আছে। এখন কেউ যদি একটি অন্ধকার টানেলে সামান্য আলোর জন্য হাতড়ে বেড়ায় এবং দূর থেকে হুইসেল বাজিয়ে কোনো ট্রেন যদি আলো জ্বালিয়ে ওই টানেলে প্রবেশ করে, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপায় কী হবে? ওই আলো তার ধ্বংস ছাড়া কোনো কল্যাণ দেবে না। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুতের আলো জাতির জন্য টানেলে থাকা ওই ব্যক্তির জন্য ট্রেনের আলোর মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

এবার একই প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চলবে। সরকারের যুক্তি হলো গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে; দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানির নিশ্চয়তা না থাকায় আশানুরূপ বিনিয়োগ হচ্ছে না। এই জন্য গ্যাসের মজুদ বাড়াতে হবে। উত্তম কথা। সবই ঠিক আছে, কিন্তু অনৈতিক উপায়ে কেন। তা ছাড়া সিএনজিতে রূপান্তর করে যে পরিমাণ গ্যাস পরিবহন খাতে সরবরাহ করা হচ্ছে, তার কি খুব দরকার ছিল? বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম অর্ধেকে নেমে গেছে। সরকার এ খাতে আর আগের মতো ভর্তুকি দিচ্ছে না, উল্টো মুনাফা করছে। যদিও ব্যবসা করা সরকারের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। স্বল্পমূল্যে যেখানে আমরা জ্বালানি তেল কিনতে পারছি, সেখানে মজুদ গ্যাস সিএনজি করে পরিবহন খাতে দিয়ে দেওয়া বড় ধরনের অপচয়। এই গ্যাস শিল্প-কারখানায় বরাদ্দ দিলে অন্তত কয়েক বছরের জন্য বিনিয়োগের নিশ্চয়তা দেওয়া যায়। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম না কমানোও বিনিয়োগ না হওয়ার অন্যতম কারণ। সুতরাং বিনিয়োগের জন্য গ্যাসের মজুদ বাড়াতে হবে এবং অনৈতিক আইন করে সমুদ্রের কয়েকটি ব্লক বিনা টেন্ডারে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ইজারা দিতে হবে, এটা খোড়া যুক্তি। পরিবহন খাতে দেওয়া গ্যাসের অপচয় রোধ করে এবং জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। আর এই সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু উপায়ে, আইন-কানুন মেনে, নীতি-নৈতিকতার মধ্য থেকে সমুদ্রের গ্যাসক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধানের জন্য ইজারা দেওয়া যেতে পারে। সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় টেন্ডারের মাধ্যমে গ্যাসক্ষেত্রগুলো ইজারা দিলে নিশ্চয়ই একশ বছর লাগবে না।

 

সমকালের ওই প্রতিবেদনে প্রাক্তন তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ম তামিম বলেছেন, ‘বিশেষ আইনে বড় প্রকল্পের কাজ না দেওয়াই ভালো। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগবে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়ায় আরো ৫ থেকে ৬ মাস সময় বেশি লাগলে ক্ষতি নেই।

 

সময়ের হিসেবে পাঁচ বা সাত মাস খুব দীর্ঘ নয়। আর এই সময়টুকু বাঁচাতে সরকার যে পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে, এর জন্য বাঙালি জতিকে আগামী পাঁচ বা সাত শতক পর্যন্ত খেসারত দিতে হবে। শুধু বিনা টেন্ডারেই নয়, কোম্পানিগুলার সঙ্গে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) করা হবে। এ পর্যন্ত হলে কোনো কথা ছিল না, গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সংশোধন করা হবে মডেল পিএসসি। এর অর্থ কী দাঁড়াবে? আমার দেশের সম্পদ আমাকেই টাকা দিতে কিনতে হবে। মডেল পিএসসি সংশোধনের ফলে যা হবে, তা পরিষ্কার। আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে গ্যাস পাওয়া যায়, সেই দামেই আমাদের নিজেদের গ্যাস ক্রয় করতে হবে।

 

সরকারের যুক্তি হলো গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আমাদের সক্ষমতা নেই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত একটি স্বাধীন দেশের সরকারের পক্ষে এ ধরনের কথা বেমানান। আবার বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এমন একটি দল, যাদের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ এই নয় যে, নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজের দেশের সম্পদকে অন্যের কাছে বিকিয়ে দেওয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ আত্মমর্যাদা নিয়ে মেরুদ- সোজা করে দাঁড়ানো। এখন সরকার দাবি করছে, তাদের সক্ষমতা নেই বলে বিনা টেন্ডারে অনৈতিক উপায়ে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমুদ্রের গ্যাসক্ষেত্রগুলো ইজারা দেওয়া হবে। নিজেদের সক্ষমতা নেই; সক্ষমতা বাড়ান। রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ-ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন উন্নয়নপ্রকল্পে নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে নানা অজুহাতে প্রতি বছর যে পরিমাণে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ বা ব্যয় করা হচ্ছে, তার সিকি ভাগ অর্থ যদি আমাদের বাপেক্স বা পেট্রোবাংলাকে দেওয়া হতো তাহলে আর সক্ষমতার প্রশ্ন উঠত না।

 

সরকারের কাছে দাবি, বিনা টেন্ডারে সমুদ্রের পাঁচটি ব্লক ইজারা দেওয়ার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকলে তা বন্ধ করুন। বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার সক্ষমতা বাড়াতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন। খ-কালীন সময়ে দেশি-বিদেশি পরামর্শক এনে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কাজে লাগানো যেতে পারে। এর সবই সম্ভব সরকার যদি আন্তরিক এবং সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হয়।

 

পাদটীকা : ভারতীয় পুরানে বর্ণিত সমুদ্রমন্থন থেকে তুলে আনা অমৃতের স্বাদ ভূমিপুত্ররা পায়নি। আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। আমরা অমৃত (তেল-গ্যাস) তুলে আনব, কিন্তু মালিকানা আমাদের থাকবে না। ১৯৭১-এর উত্তাল মার্চে যখন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কালক্ষেপণ করছিল; ওই সময়ে সম্ভবত ১৯ মার্চ ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রকে একশ বছরের জন্য ইজারা দিলে কোনো রক্তপাত ছাড়াই বাংলাদেশকে স্বাধীনতা পাইয়ে দেবে। বঙ্গবন্ধুর সাফ জবাব শিয়ালের মুখ থেকে কেড়ে নিয়ে বাঘের মুখে আমার দেশ ছেড়ে দিতে পারি না। এর পরিণতিতে বঙ্গবন্ধুকে নীলকণ্ঠ হতে হয়েছিল। তারই কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বাঘের মুখে নয়; মনে হচ্ছে একেবারে হায়েনার মুখে দেশকে ছেড়ে দেওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন।

 

লেখক : সাংবাদিক

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৬/সাইফুল   

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়