ঢাকা     শনিবার   ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বানিয়াচঙ্গে

ফয়সাল আহমেদ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ৪ জুলাই ২০২৩   আপডেট: ১৭:৪৪, ৪ জুলাই ২০২৩
ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বানিয়াচঙ্গে

দীর্ঘদিন থেকে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বলে পরিচিত বানিয়াচঙ্গ যাবো ভাবছিলাম। অবশেষে সেই ভাবনা আজ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সকাল ৬টা ২০ মিনিটে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শায়েস্তাগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। একাই যেতাম কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমার পুরনো প্রায় সকল বন্ধুকে ভ্রমণসঙ্গী হিসাবে পেয়ে যাই। ঢাকা থেকে টিটু, মিহির, সুজন ছাড়াও সিলেট থেকে যোগ দেবে খোকন। ফলে দীর্ঘদিন পর বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে ভ্রমণ এবং আড্ডা হতে যাচ্ছে এবার। 

আমি ও সুজন অন্ধকার থাকতেই উপস্থিত হয়ে যাই কমলাপুর রেলস্টেশনে। টিটু ও মিহির এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে ওঠে। আমরা বাধ্য হয়ে বিনা টিকিটের যাত্রী। অনলাইন ও কাউন্টার কোথাও টিকিট না পেয়ে শেষে একজন এটেন্ডেন্ট-এর শরণ হই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে গিয়ে তবে আমরা সিট পাই। বন্ধুদের দল হওয়ায় দাঁড়িয়ে যাওয়াটা মোটেই কষ্টকর ছিল না আমাদের জন্য। 

শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে নামার কিছুক্ষণ পরই সিলেট থেকে খোকন এসে যোগ দেয় আমাদের সাথে। স্থানীয় একটি দোকানে মোরগ পোলাউ দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে ফেলি। চা-পর্ব শেষ করে রওয়ানা হয়ে যাই বানিয়াচঙ্গের উদ্দেশ্যে। যেতে হবে প্রথমে হবিগঞ্জ শহরের একপ্রান্তে বানিয়াচঙ্গ অটোরিকশা বা সিএনজি স্টেশনে। সেখান থেকে আরেকটি সিএনজি নিয়ে যেতে হবে বানিয়াচঙ্গ বড় বাজার। 

গতকালই সাইকেলে বিশ্বভ্রমণকারী  বন্ধু আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বলের সাথে কথা বলে স্থানীয় সাংবাদিক মোশাহিদ ভাইয়ের মোবাইল নম্বর নিয়েছিলাম। ট্রেন থেকে নেমেই মোশাহিদ ভাইকে ফোন দিই। মোশাহিদ ভাই বলেন, বানিয়াচঙ্গ বড়বাজারে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবেন। আমি অবশ্য গতরাতে বানিয়াচঙ্গের মানুষ প্রায় ৩০ হাজার বইয়ের সংগ্রাহক রাজ্জাক ভাইকেও ফোন দিয়েছিলাম। রাজ্জাক ভাই বলেছিলেন, বানিয়াচঙ্গ গেলে তাকে জানাতে। তিনিও ভ্রমণসঙ্গী হতে পারেন। কিন্তু তিনি বিশেষ কাজ থাকায় আমাদের সাথে যেতে পারছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এশিয়ার বৃহত্তম গ্রামের পরিচয় বলে বানিয়াচঙ্গ আমরা কমবেশি চিনি। এখানেই বানিয়াচঙ্গ রাজ্যের শেষ চিহ্ন ছাড়াও কমলা রানীর দীঘি, বিথঙ্গল আখড়া, মোঘল আমলের কয়েকটি মসজিদ। আছে রাতারগুলের মতো হাওড়ের ভেতর জলাবনসহ অনেক দর্শনীয় স্থান। এত কিছুর পর এই গ্রামে যে বিশ্ববিখ্যাত একজন ভূ-পর্যটক জন্মেছেন তা আমরা অনেকেই জানতাম না। এই ভূ-পর্যটকের নাম রামনাথ বিশ্বাস। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ জন অভিযাত্রীর মধ্যে একজন হিসাবে তাঁকে অভিহিত করা হয়। আমরা বানিয়াচঙ্গ উপজেলা শহরে প্রবেশের আগেই মোশাহিদ ভাই বলে রেখেছেন কোথায় নামতে হবে। বানিচঙ্গ শহিদ মিনারের কাছে আমরা সিএনজি থেকে নামি। এখানেই মোশাহিদ ভাইসহ স্থানীয় আরো কয়েকজন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মোশাহিদ ভাই পরিচয় করিয়ে দেন শেখ জুয়েলের সাথে। আমাদের বানিয়াচঙ্গের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থান ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য শেখ জুয়েলকে গাইড হিসাবে মনোনীত করে দেন। 

চা পর্ব শেষে শেখ জুয়েল আমাদেরকে প্রথমে নিয়ে যায় বানিয়াচঙ্গ রাজবাড়ি দেখাতে। এই জমিদারীর পত্তন করেন গোবিন্দ সিং। যিনি পরবর্তীতে ধর্মান্তরিত হয়ে ‘হাবি খাঁ’ নামে পরিচিত হন। আমরা ভগ্নস্তূপে পরিণত হওয়া রাজবাড়ী ও দীঘি ঘুরেফিরে দেখি। খানিকক্ষণ পরে দেখা হয়ে রাজপরিবারের বর্তমান বংশধর আহমদ জুলকারনাইনের সঙ্গে। তিনি হাম্মামখানা খুলে আমাদের তা দেখার সুযোগ করে দেন। একটি প্রাচীন তলোয়ার রাখা ছিল সেখানে। আমরা তলোয়ারটি হাতে নিয়ে দেখি। জুলকারনাইন ভাইয়ের সাথে ছবি তুলে আমরা বিদায় নিয়ে আমাদের অন্য গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। 

আমাদের পরের গন্তব্য ছিল বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত কমলা রানীর দীঘি দেখা। অটো নিয়ে আমরা সেখানে যাই। সত্যি দীঘির বিশালত্ব আমাদের মুগ্ধ করে। বন্ধুদের সাথে কথাপ্রসঙ্গে বলছিলাম এই ঐতিহাসিক দীঘিকেন্দ্রীক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারতো।  

সবশেষ গন্তব্য যে প্রবল ইচ্ছে আমাদের এত দূর পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে এসেছে বিশ্বপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা ঘুরে দেখা। রামনাথ বিশ্বাস সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেয়া যাক। রামনাথ বিশ্বাস ১৮৯৪ সালের ১৩ জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের হবিগঞ্জ মহকুমার বানিয়াচঙ্গ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার অকাল মৃত্যুতে তিনি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে পড়াশোনার ইতি টানতে বাধ্য হন। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। এক সময় তিনি অগ্নিযুগের বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতিতেও যোগদান করেন। চাকরি করেন ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হলে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সাইকেলে চড়ে ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত ৩টি পর্বে ভূ-পর্যটন সমাপ্ত করেন। তাঁর সাইকেলে প্রথম বিশ্বযাত্রা ৭ জুলাই ১৯৩১ সিঙ্গাপুরের কুইন স্ট্রীট থেকে শুরু হয়। সেদিন সিঙ্গাপুরে কর্মরত প্রবাসী ভারতীয়রা রামনাথকে পৃথিবীর পথে যাত্রার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানান। 

রামনাথ প্রথম পর্বে সাইকেলে চড়ে মালয়, থাইল্যান্ড, ইন্দোচীন, চীন, কোরিয়া, জাপান হয়ে কানাডা পৌঁছান। দ্বিতীয় বিশ্বযাত্রা ১৯৩৪ সালে শুরু করেন। এই যাত্রায় আফগানিস্তান, পারস্য, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, যুগোস্লাভিয়া, হাঙ্গেরী, অস্ট্রিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, জার্মানি, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স হয়ে ব্রিটেনে গিয়ে সমাপ্তি টানেন। 

তৃতীয় বিশ্বযাত্রা শুরু করেন ১৯৩৮ সালে। মুম্বাই থেকে জাহাজে চড়ে কেনিয়ার উপকূলীয় শহর মোম্বাসায় পৌঁছান। সেখান থেকে সাইকেলে আফ্রিকা মহাদেশ পাড়ি দেন। এই সময়ে তিনি কেনিয়া, উগান্ডা, নায়াসাল্যান্ড, রোডেসিয়া হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছান। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনি জাহাজযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং কিছুদিন পর দেশে ফিরে আসেন। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তাঁর দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণ করা সম্ভব হয়নি।

রামনাথ বিশ্বাস তাঁর জীবনের শেষ ১৫ বছর কলকাতা কাটান। এই সময়ে তিনি ভ্রমণকাহিনীসহ বিবিধ বিষয়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। কলকাতায় বসবাসকালে রামনাথের ভ্রমণকাহিনী আনন্দবাজার পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। এরপর তা একে একে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হতে থাকে। রামনাথ বিশ্বাসের রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও অধিক। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে, অন্ধকারের আফ্রিকা, আজকের আমেরিকা, জুজুৎসু জাপান, তরুণ তুর্কী, দুরন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, নিগ্রো জাতির নতুন জীবন, প্রশান্ত মহাসাগরে অশান্তি, বেদুইনের দেশে, ভবঘুরের বিশ্বভ্রমণ, ভিয়েতনামের বিদ্রোহী বীর, মরণবিজয়ী চীন, মালয়শিয়া ভ্রমণ, লাল চীন, বিদ্রোহী বলকান, সর্বস্বাধীন শ্যাম, ট্যুর রাউন্ড দ্য ওযাার্ল্ড উইদাউট মানি ইত্যাদি।

রামনাথ বিশ্বাস গল্প ও উপন্যাসও লিখেছেন। তাঁর গল্পগ্রন্থের মধ্যে ভবঘুরের গল্পের ঝুলি, ভবঘুরের ভিনদেশী বন্ধু, মাও মাওয়ের দেশে ইত্যাদি। উপন্যাসের মধ্যে হলিউডের আত্মকথা, আমেরিকার নিগ্রো, আগুনের আলো এবং সাগরপারের ওপারে।

রামনাথ বিশ্বাস মনেপ্রাণে বর্ণবাদবিরোধী মানুষ ছিলেন। সেই সময়ে সারা দুনিয়ায় বর্ণবাদ খুবই তীব্র ছিল। সাদা চামড়ার লোকজন কালো বা বাদামী চামড়ার মানুষদের ‘মানুষ’ বলেই গণ্য করত না। চরম অবহেলিত, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার ছিলো কালো মানুষের দেশ আফ্রিকা এবং মিশ্র বর্ণের ভারতীয়রা। রামনাথ বিশ্বাসও একজন ভারতীয় ও অশ্বেতাঙ্গ বলে বিভিন্ন সময়ে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। আফ্রিকা মহাদেশে দেখেছেন নিগ্রোদের উপর কীভাবে বর্ণবাদী সাদা চামড়ার লোকজন অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। তিনি তাঁর ভ্রমণকালে যখনই কোনো বর্ণবাদী আচরণ দেখেছেন তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। প্রতিবাদ করেছেন। বিভিন্ন দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলী তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি। পরবর্তীতে তাঁর গ্রন্থগুলোতে তাঁর দেখা আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের নানা দিক গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে। রামনাথ বিশ্বাসের ভ্রমণ আলেখ্য পাঠকের বিচিত্র ভ্রমণকাহিনী পাঠের অনন্য সাধারণ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ করবে। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের মূল্যবান দলিল হিসাবে রামনাথ বিশ্বাসের গ্রন্থাবলী গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর লেখা আজকের দিনে সেই সময়ের ইতিহাসের মূল্যবান দলিলে পরিণত হয়েছে। 

রামনাথ বিশ্বাস আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দীঘদিন একটি কুচক্রী মহল বেদখল করে রেখেছে। সম্প্রতি এর কিছুটা উদ্ধার হয়েছে। আশা করি পুরো বাড়ি উদ্ধার করে এখানে গড়ে উঠবে রামনাথ বিশ্বাস স্মৃতি জাদুঘর এবং সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এটা সকলের দাবি। ইতোমধ্যে রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি পুনরুদ্ধারে বেশ জোরালো আন্দোলনও গড়ে উঠেছে।

আমাদের বানিয়াচঙ্গ ভ্রমণে গাইড ছিল শেখ জুয়েল। রামনাথ বিশ্বাস নিয়ে তার রচিত ও গাওয়া একটি গান আমরা রামনাথের ভিটার সামনে গিয়ে শুনি এবং মোবাইলে রেকর্ড করি। গানটির কয়েকটি লাইন:
‘বাইসাইকেলে ঘুইরা বেড়াইছুইন সারা দুনিয়া
প্যাডেল মারিয়া মারিয়া
বাইন্ন্যারচংয়ের রামনাথ আইলো বিশ্ব জয় করিয়া।’
সহজ সরল কথা ও লোকজ সুরে শেখ জুয়েল রামনাথকে চমৎকারভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তাঁর গানে। 

শেখ জুয়েল আমাদেরকে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় সেখানে আমরা সত্যি অসাধারণ স্বাদের ঘরোয়া খাবার দিয়ে লাঞ্চ সারি। আমরা স্বল্প সময়ে বানিয়াচঙ্গে দারুণ একটি ভ্রমণ শেষে এবার বিদায়ের প্রস্তুতি নেই। সাংবাদিক মোশাহিদ ভাই, শেখ নুরুল ইসলাম এবং শেখ জুয়েলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা একটি সিএনজি নিয়ে যাত্রা করি আউশকান্দির উদ্দেশ্যে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য সিলেট শহর। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি থেকে সিলেটগামী বাসে চড়তে হবে। সিএনজিতে ওঠার পূর্বে আমাদের সর্বশেষ একটি দর্শনীয় স্থান মোঘল আমলের দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখে আসি। ততোক্ষণে গোধূলিবেলা পার হতে চলেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বিশাল হাওড়ের মাঝখান দিয়ে চলতে থাকি। আমাদের হাওড়ের ভিতর দিয়ে প্রায় ৩০ কি.মি. পথ পাড়ি দিতে হবে। হাওড়ের মাঝামাঝি আসার পর আমাদের সিএনজির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। সম্ভবত গ্যাস শেষ হয়ে এসেছে চালক খেয়াল করেনি। আমরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ি। ভাগ্য সুপ্রসন্ন আরেকটি খালি সিএনজি এসে আমাদের উদ্ধার করে।

পথিমধ্যে পড়ে নবীনগর। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আউশকান্দিতে পৌঁছাই আমরা। এখান থেকে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস ধরে সিলেট আসতে আসতে সন্ধ্যা রাত ৮টা বাজে। হাবিব ভাই আমাদের জন্য হোটেলের কাছেই অপেক্ষা করছিলেন। রাতে চমৎকার একটি আড্ডা হয় আমাদের মধ্যে। সকালের প্রোগ্রাম ঠিক হয় জৈন্তাপুরের খুবই দৃষ্টিনন্দন শাপলাবিলে যাওয়া যাওয়া হবে। টিটুকে বলি বানিয়চঙ্গে লাউড় রাজ্যের কিয়দংশ দেখা হলো। লাউড় রাজ্যের স্মৃতিচিহ্ন আছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে। মিহির জানায় সে গিয়েছে সেখানে। থাকছি গৌড়ে অর্থাৎ বর্তমান সিলেটে। আগামীকাল সবাই জৈন্তিয়া যাচ্ছি। তাহলে আমাদের প্রাচীন সিলেটের ৩টি রাজ্যের অংশবিশেষ দেখা হয়ে গেলো। বাকি থাকল ইটা এবং তরফ। পরেরবার না হয় তাও হবে।

তারা//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়