চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি ফ্লাইওভার খুলে যাওয়ায় ভিন্নমাত্রা যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারসহ ৫ প্রকল্প খুলে দেওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে এক ভিন্নমাত্রা যোগ হলো।

বলা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটে গেল। এ সড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতও সহজ হয়ে উঠল।

সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের গাজীপুর অংশে নির্মিত কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, দুটি সেতু ও একটি আন্ডারপাস শনিবার খুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে গাজীপুরেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল নাটমন্দিরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ।

জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, ‘জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র করিডোর। চারটি প্যাকেজের মাধ্যমে এ মহাসড়কটি উন্নয়নের জন্য ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে অবস্থিত ২৩টি সেতু এবং দুটি রেলওয়ে ওভারপাসের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ, ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, ‘২৩টি সেতু ও ২টি রেলওয়ে ওভারপাসসহ অধিকাংশ স্থানে ৪-লেন সড়ক যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার ফলে বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গমনাগমন সহজ ও আরামপ্রদ হয়েছে।’

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রজেক্টের এক নম্বর প্যাকেজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কড্ডা-১ সেতু, বাইমাইল সেতু ও কালিয়াকৈর আন্ডারপাস খুলে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে যোগাযোগে নতুন মাত্রা পেল। দুটি ফ্লাইওভারই চার লেনের। এরমধ্যে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ ১৬৪৫ মিটার, নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২১০ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা। চন্দ্রা ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ ২৮৮ মিটার, নির্মাণ খরচ ৪৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা। কড্ডা-১ সেতুর দৈর্ঘ ৭০ মিটার, ব্যয় হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা। ১২১ মিটার দৈর্ঘের বাইমাইল সেতু নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৭ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া ৪২০ মিটার দৈর্ঘের কালিয়াকৈর আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হয় ১২ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা।




রাইজিংবিডি/ গাজীপুর / ২৬ মে ২০১৯/ হাসমত আলী/টিপু