ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাড়ে ৬ বছর পর চালু হলো সিলেট পেপারমিল

অর্থনীতি ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাড়ে ৬ বছর পর চালু হলো সিলেট পেপারমিল

রাইজিংবিডি২৪.কম:

সাড়ে ছয় বছর বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল। বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পর চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে কারখানাটিতে পরীক্ষামূলক উত্পাদন শুরু হয়। এ মাসের শেষের দিকে কারখানাটি বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদনে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ নিটল-নিলয়ের মালিকানায় পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলটি চালু করা হচ্ছে। আগে এখানে শুধু মণ্ড তৈরি হতো। তবে নিটলের মালিকানায় চালু হওয়ার পর এখন থেকে কাগজ ও মণ্ড দুটিই উত্পাদন হবে। মিল থেকে দৈনিক প্রায় ৭৫-৮০ টন কাগজ উত্পাদন সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জানা যায়, অব্যাহত লোকসানের কারণে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালের এপ্রিলে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের ছাতকের সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলটি বিক্রি করে দেয়া হয় নিটল-নিলয় গ্রুপের কাছে। ভূ-সম্পত্তিসহ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কারখানাটি মাত্র ৪৭ কোটি টাকায় বিক্রি করা নিয়ে ওই সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে। ২০০৬ সালের এপ্রিলে কারখানাটি বিক্রির পর বেকার হয়ে পড়েন এতে কর্মরত সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এরপর থেকে নিটল-নিলয় গ্রুপ দ্রুততম সময়ে কারখানা চালু ও বেকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের আশ্বাস দিয়ে আসছিল।

সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটি সচল করা হয়েছে। আগে এ কারখানায় শুধু মণ্ড তৈরি করে তা বিভিন্ন পেপার মিলে বিক্রি করা হতো, কিন্তু এখন থেকে মণ্ড তৈরির পাশাপাশি কাগজও উত্পাদন করা হবে। ৬ ডিসেম্বর থেকে মিলটিতে পরীক্ষামূলকভাবে কাগজ উত্পাদন শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক উত্পাদনে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত মেশিনে বড় ধরনের কোনো ত্রুটি দেখা না দেয়ায় চলতি মাসের শেষের দিকে পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে কাগজ উত্পাদন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছে মিল কর্তৃপক্ষ।
সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলের ব্যবস্থাপক আক্কাস আলী জানান, দীর্ঘদিন মেরামত ও সংস্কারকাজ শেষে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিলটিতে পরীক্ষামূলক উত্পাদন শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাসের শেষের দিকে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন ৭৫-৮০ টন কাগজ উত্পাদন সম্ভব হবে। আগামী বছর থেকে কাগজের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে মণ্ডও তৈরি করা হবে।

আক্কাস আলী আরও জানান, বর্তমানে মিলটিতে প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। বাণিজ্যিক উত্পাদনে যাওয়ার পর আরও সমানসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে।

মিল চালু করতে সাড়ে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়া সম্পর্কে ব্যবস্থাপক আক্কাস আলী বলেন, এত বড় একটি মিল চাইলেই হুট করে চালু করা যায় না। মিলে স্থাপিত মেশিনগুলো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে হয়েছে। এ জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে।

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়