ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শুরু হচ্ছে কোকা-কোলার উইমেন বিজনেস সেন্টার

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৯, ২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুরু হচ্ছে কোকা-কোলার উইমেন বিজনেস সেন্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুরু হতে যাচ্ছে কোকা-কোলার উইমেন বিজনেস সেন্টারের তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম।

রোববার কোকা-কোলা ও বিল্ড যৌথভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন ও নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে দিকনির্দেশনা শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করে।

এতে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ ও উন্নয়নের সামগ্রিক বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। প্যানেল ডিসকাশনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- গ্রামীন নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ছোটবেলার কথা মনে করতে পারছি, যখন আমদের মা-দাদিরা ঘরে কাজ করতেন আর আমরা বাইরে কাজ করতাম। ঘরের আশপাশেই তারা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি চাষ করতেন যা তাদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবার মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। আমরা সৌভাগ্যবান যে আজকে কোকা-কোলার মতো কোম্পানি নারীদের সাবলম্বী করতে এগিয়ে এসেছে। আমি আশা করছি, তাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

বিজনেজ ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভলপমেন্টের উপদেষ্টা আসিফ ইব্রাহীম বলেন, গ্রামীণ নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া যেতে পারে, যেখানে দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবায়নযোগ্য নীতি নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনাগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে এরকম আরো অনেক প্রকল্পের প্রয়োজন রয়েছে যা আমাদের নারী উদ্যোগক্তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে। কোকা-কোলার মতো এরকম করপোরেট প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসায় আমি সাধুবাদ জানাই।

কোকা-কোলা বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাদাব আহমেদ খান বলেন, আমদের এই উইমেন বিজনেস সেন্টার হচ্ছে বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার কার্যক্রমের একটি বিশেষ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৫ মিলিয়ন সুবিধাবঞ্চিত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। আমি গর্বের সাথে বলতে চাই, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ আশাব্যাঞ্জক। যদিও এই নারীদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের অভাবে তারা প্রায়ই পিছিয়ে পড়ছে। কোকা-কোলা সবসময়ই সম্ভাবনাময় এসব নারীর সাফল্যের প্রচেষ্টায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। যার ফলাফল উইমেন বিজনেস সেন্টারের প্রথম দুটি ধাপেই আমরা দেখেছি এবং এরই ধারাবাহিকতায় আমরা তৃতীয় ধাপের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আত্মবিশ্বাসী হয়েছি।

প্যানেল ডিসকাশনের পাশাপাশি কোকা-কোলার উইমেন বিজনেস সেন্টারের তৃতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ যথাক্রমে জামালপুর, খুলনা ও বাগেরহাটে একই রকম প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের অর্জিত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তৃতীয় ধাপের অর্থায়ন ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপটি আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলবে। যেখানে মোট তহবিলের পরিমান ১ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার। প্রজেক্টটি ২০ হাজার গ্রামীণ নারীর সরাসরি আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।



রাইজিংবিডি/ ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৭/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ