ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার জরুরি

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ২৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার জরুরি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে হাইটেক শিল্পের চেয়ে শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) টুল ইনস্টিটিউট ভবনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং হালকা প্রকৌশল শিল্প প্রসারের মাধ্যমে দেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি পরিকল্পিত শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও মুদ্রণ শিল্পের জন্যও পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে দেশে বিপুল পরিমাণে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল প্রয়োজন। শিল্পোন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিতের হার মাত্র ১০ শতাংশ। দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোক বিদেশে চাকরি করলেও তারা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না।

দেশব্যাপী যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলো সচল রাখতে ব্যাপকহারে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ এর ঘোষণা বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। বিটাকের মাধ্যমে বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলাসহ সর্বমোট ১৯ হাজার ৩৩২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬১০ জন প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবার সাথে সাথেই চাকরি পেয়েছেন। কেউ কেউ নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন। টুল ইনস্টিটিউট চালু হলে, দেশেই বিশ্বমানের হালকা প্রকৌশল পণ্য ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৭/আশরাফ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়