ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করের কোটি টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে, অভিযানে সত্যতা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করের কোটি টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে, অভিযানে সত্যতা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : করের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার  রংপুরের আয়কর বিভাগে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। ব্যক্তিগত একটি একাউন্ট যাচাই করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা অনৈতিকভাবে উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আরো কিছু হিসাব যাচাই করলে আত্মসাতকৃত অর্থ পাওয়া যাবে বলে টিম মনে করে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, আয়কর বিভাগের রংপুর কর অঞ্চলের আওতাধীন দিনাজপুরের করদাতাদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে অন্য ব্যক্তিগত হিসাব ব্যবহার করে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে নিয়েছে একটি চক্র। এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে।

দুদক আরো জানায়, নিয়মানুযায়ী আয়কর বিভাগ হতে প্রাপ্ত টাকা চালান বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, দিনাজপুর কর্পোরেট শাখার ট্রেজারির হিসাব কোডে জমা হওয়ার কথা, কোনো ব্যক্তিগত হিসাবে জমা হওয়ার সুযোগ নেই।  কিন্তু পে-অর্ডার বা চালানগুলো ব্যাংকে জমা হওয়ার পর চালানগুলো ছিড়ে ফেলে এবং পে-অর্ডারগুলোর পেছনে ঘষামাজা করে একটি নির্দিষ্ট বেতন বিলের হিসাব নম্বরে জমা দেওয়া হয়েছে। উক্ত কর্মকাণ্ডে দিনাজপুরের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং আয়কর বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে দুদক টিম। একটি একাউন্ট যাচাই করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা অনৈতিকভাবে উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায়, ফলে আরও কিছু হিসাব যাচাই করলে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছছে। দুদক টিম এ বিষয়ে সকল তথ্যাদি সংগ্রহপূর্বক অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

এদিকে নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিসে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর একটি টিম। দুদক টিম উক্ত অফিসে অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট বিতরণ কক্ষে দালালের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এই অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দালালকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে। অন্যান্য দালালরা দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

এছাড়া ঘুষ প্রদান না করা হলে বিভিন্ন পাসপোর্ট গ্রহণে নানাবিধ সমস্যা দেখিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নম্বরপ্লেট প্রদান ইত্যাদি সেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর একটি টিম।

এ অভিযানে বিভিন্ন আবেদনসমূহের তালিকা সংগ্রহ করা হয় এবং আবেদনসমূহে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা বিস্তারিতভাবে যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়