ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচন করার সামর্থ্য রাখে’

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ২ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচন করার সামর্থ্য রাখে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচন করার সামর্থ্য রাখে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয়ে অনেক জ্ঞানী লোক থাকতে পারেন। তবে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য বিএনপির চেয়েও জ্ঞানী ব্যক্তিদের ভাড়া করে আনতে হবে, এটা মনে করি না। কারণ আমরা মাঠের রাজা। রাজত্ব রক্ষা করার শিক্ষা আমাদের আছে।’

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন। বিএনপি সুইডেন শাখার আয়োজনে ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কিভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনা করতে ১৫-১৬ জন ব্যক্তি দরকার। তখন দেখবেন, আমাদের কাছে হাজার আবেদন আসবে। সেখান থেকেই একজনকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান করা যাবে। এটা নিয়ে এত গবেষণার দরকার আছে বলে মনে করি না। আমাদের চিন্তা করতে হবে, কিভাবে শেখ হাসিনার বিদায় করা যায়।’

বিএনপির পক্ষ থেকে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য।

তিনি বলেন, ‘এরশাদের পদত্যাগে কয় মিনিট লেগেছে? ৫ মিনিটও লাগেনি। এরপর সব দল একমত হলো, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপ-রাষ্ট্রপতি হলেন, পরে রাষ্ট্রপতি হলেন। তারপরই হলো নির্বাচন। তাই, একটি দলীয় সরকার না থাকলে কিভাবে নির্বাচন হয়, জনগণ তা জানে। এর জন্য গবেষণার প্রয়োজন নেই, সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ারও কোনো প্রয়োজন নেই।’

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনিশ্চিত মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত। কারণ দেশি-বিদেশি শক্তি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করতে পারেনি যে ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করতে গেলেও তিনি মাঠ থেকে ফেরত আসতে পারবেন। তাই বিএনপি ক্ষমতায় যাক বা না যাক, এ সরকারের আয়ু বেশিদিন নেই।’

তবে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। কিন্তু তাদের বিদায় নেওয়ার পেছনে বিএনপির অবদান আছে কি না, তা জনগণের কাছে দৃশ্যমান করতে না পারলে ফলাফল আপনাদের (বিএনপির) ঘরে নাও আসতে পারে। সরকার যাবে, কিন্তু আপনাদের কোনো ভূমিকা নেই-তাহলে জনগণ কেন আপনাকে মালা দেবে? এটা নিয়ে আপনারা ভাবুন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির জন্ম মাঠে, মাঠের রাজনীতি থেকেই খালেদা জিয়ার জন্ম। তিনি মাঠ থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলা করেছেন। সেদিক থেকে আমাদের নেতৃত্বে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা যদি ক্লান্ত ও বেশি পথ চলতে না পারি, সেটা আমাদেরই অপরাধ। সেজন্যই বলবো, আন্দোলন সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই।’

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করছেন, খালেদা জিয়া দেশে আসবেন কি না, আমি তাদের বলতে চাই, আগে দেখনে প্রধানমন্ত্রী দেশে আসেন কি না। যদিও দেশের পরিবেশ, পরিস্থিতিতে তার জন্য ভয়ের কিছু নাই। কিন্তু তিনি হাঁটতে লাগলে নিজের ছায়া দেখতে পান।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মিজান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ অক্টোবর ২০১৭/ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়