জ্বলে-পুড়েও মুগ্ধ দহন’র দর্শক

বিনোদন প্রতিবেদক : অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকাই চলচ্চিত্র। বর্তমানে অধিকাংশ সিনেমাই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে। একের পর এক সিনেমা ব্যাবসায়ীকভাবে লোকসানের মুখে পড়ছে। দর্শক শূন্য সিনেমা হলগুলোও কোনরকম ধুঁকে ধুঁকে চলছে। বছরে হাতেগোনা দু-একটা সিনেমা দেখতে দর্শকদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে গত ৩০ নভেম্বর মুক্তি পায় ‘দহন’ সিনেমাটি। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটির হল সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রায়হান রাফি পরিচালিত এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম, পূজা ও জাকিয়া বারী মম। 

‘দহন’ সিনেমার মুক্তির দুদিন আগেই কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে এই সিনেমার টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়েছিল। প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পায় ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৭৬টি প্রেক্ষাগৃহ প্রদর্শিত হয়। এবার তৃতীয় সপ্তাহে এসে দেশের ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে।

‘দহন’ সিনেমাটির গল্পে দেখা যায়, পেট্রল বোমায় কয়েকটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। সিনেমাটির গল্পে এমন দৃশ্য দর্শক হৃদয় স্পর্শ করেছে। এ যেন জ্বলে-পুড়েও মুগ্ধ দহন’র দর্শক। চলচ্চিত্রের মন্দার বাজারে দহন’র সাফল্যকে সবুজ সংকেত বলেই চলচ্চিত্র বোদ্ধারা মনে করছেন।
 

যেসব হলে চলছে ‘দহন’ : স্টার সিনেপ্লেক্স–বসুন্ধরা সিটি, ব্লকবাস্টার সিনেমাস–যমুনা ফিউচার পার্ক, শ্যামলী সিনেমা–ঢাকা, বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড–ঢাকা, সিলভার স্ক্রিন–চট্টগ্রাম, মম-ইন–বগুড়া, রাজমনি সিনেমা–ঢাকা, এশিয়া সিনেমা–ঢাকা, আনন্দ সিনেমা–ঢাকা, মুক্তি সিনেমা–ঢাকা, পূরবী সিনেমা–ঢাকা, পুনম সিনেমা–ঢাকা, রানীমহল সিনেমা–ডেমরা, সেনা–সাভার, আলমাস–চট্টগ্রাম, ছায়াবানী–ময়মনসিংহ, কেয়া–টাংগাইল, লিবার্টি–খুলনা, মর্ডান– দিনাজপুর, মধুমতি–ভৈরব, রাজ–কুলিয়ারচর, রুপকথা–পাবনা, শঙ্খ–খুলনা, সনিয়া–বগুরা, মনিহার–যশোর, আয়না–আক্কেলপুর, বাবুল–নওহাটা, বর্নালী–নওয়াপাড়া, চলন্তিকা–গোপালদী, চাঁদমহল–কাচপুর, ছন্দা–পটিয়া, ঝংকার–পাচদোনা, কথাচিত্র–কটিয়াদী, মধুমিতা–মাগুরা, মোহনা–কোনাবাড়ি, মমতাজ–সিরাজগঞ্জ, মুন–হোমনা, নবীন–মানিকগঞ্জ, পান্না–মুক্তারপুর, তামান্না–সৈয়দপুর, আলতা–সরিষাবাড়ি, বনলতা–ফরিদপুর, ফিরোজমহল–পাগলা, হ্যাপি–লক্ষীপুর।

এ ছাড়াও চলছে-কাজলি–মতলব, কল্লোল–মধুপুর, মানসী–কিশোরগঞ্জ, মেহেরপুর–মেহেরপুর, মনিকা–শায়েস্তাগঞ্জ, মুন–হোমনা, পালকী–চান্দিনা, প্রিয়া–ঝিনাইদহ, পূর্বাষা–সান্তাহার, রাজিয়া–নাগরপুর, রুপকথা–পাবনা, সাগরিকা–চালা, সোনালী–টেকেরহাট, তিতাস–পটুয়াখালী, আলমডাঙ্গা–আলমডাঙ্গা, অনামিকা–পিরোজপুর, বাবু–কিশোরগঞ্জ, বৈশাখী–নরিয়া, ছন্দা–কালীগঞ্জ, দিনান্ত–কেশরহাট, গ্যারিশন–দয়ারামপুর, লাইটহাউজ-পারুলিয়া, মমতাজমহল– নীলফামারী, নসিব–সাপাহার, রাজু–ঈশ্বরদী, রংধনু–নজিপুর, রূপালী–পাঁচবিবি, সখি–হোসাইনপুর, সোনালী– ঘোড়াঘাট, সনি–ইসলামপুর, উল্লাস–বীরগঞ্জ, বর্নালী–শাহজাদপুর, আশা–মেলান্দহ, জনতা–জলঢাকা, আনন্দ– তানোর, শাহীন–বল্লাবাজার।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ডিসেম্বর ২০১৮/রাহাত/শান্ত