ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আরাফাত সানীর জামিন শুনানি ৯ মার্চ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আরাফাত সানীর জামিন শুনানি ৯ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন শুনানির জন্য আগামী ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আরাফাত সানীর জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী এম জুয়েল আহমদ এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ। আদালত জামিন শুনানির জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন বলে তার আইনজীবী এম জুয়েল আহমদ জানিয়েছেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন সানীর স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মাদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ করেন। এরপর আদালত আগামী ২ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় আরাফাত সানীর মা নার্গিস আক্তারও আসামি।

গত ১২ জানুয়ারি এ মামলায় আরাফাত সানীর রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুরের আদেশ দেন। এদিন তার জামিনের আবেদন করা হলে সেটিও নাকচ করে দেন আদালত।

মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঘনিষ্ঠতা হয় আরাফাত সানী ও নাসরিন সুলতানার। একপর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নাসরিন সুলতানাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।

এরপর গত বছর ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ‘নাসরিন সুলতানা’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় সানী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি তার মা নার্গিস আক্তার থানার সামনে বাদীকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।

প্রসঙ্গত, নাসরিন সুলতানা গত ৫ জানুয়ারি সানীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় গত ২২ জানুয়ারি সানীকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন তার এক দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ জানুয়ারি রিমান্ড শেষে সানীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে সানী কারাগারেই আছেন।

এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ড চলাকালে সানীর বিরুদ্ধে ২৩ জানুয়ারি যৌতুক আইনের ৪ ধারায় আরেকটি মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় সানীকে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন আদালত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়