রাবির শিক্ষার্থী সিফাত হত্যা মামলার রায় সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলার রায় সোমবার ঘোষণা করা হবে।

ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করবেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় চারজন আসামি। এরা হলেন সিফাতের স্বামী মো. আসিফ প্রিসলি, শ্বশু মোহাম্মদ হোসেন রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী ও সিফাতের মৃতদেহের প্রথম ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বর্তমানে মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান। আসামিদের মধ্যে মো. আসিফ প্রিসলি কারাগারে আছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সিফাতকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার।

প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ডা. জোবাইদুর রহমান বলেন, সিফাত আত্মহত্যা করেছেন। কোনো প্রকার ভিসেরা রিপোর্ট ছাড়াই তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ২০১৫ সালের ২১ জুন কবর থেকে সিফাতের লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক পুনরায় ময়নাতদন্ত করে বলেন, সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ২২ মার্চ নওগাঁ জেলা সিআইডি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহমেদ আলী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। গত বছরের ১০ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজে একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পাড়ার সময় সিফাতের সঙ্গে আসিফের প্রেম হয়। পরে ২০১০ সালের ১৪ মার্চ তারা পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন। ২০১৩ সালের ১ জুন তাদের একটি ছেলে হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ