ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বড় মিজানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ২৬ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বড় মিজানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ‘নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান’ মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

দুই দফা রিমান্ড শেষে রোববার বড় মিজানকে আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কমকর্তা ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক  হুমায়ুন কবির। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম নূরনবী জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বড় মিজানকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বনানীর কাকলী রেলক্রসিংয়ের কাছের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বড় মিজান নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান বলে পুলিশ দাবি করছে।

বড় মিজানকে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১৪ মার্চ সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর ২২ মার্চ দ্বিতীয় দফায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, বড় মিজান নব্য জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এর আগে সে জুন্দ আল তাওহিদ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিল। পরবর্তী সময়ে সে গুলশান হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।

পুলিশের দাবি, বড় মিজানের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তকেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, বিস্ফোরক ও জেল চোরাচালানের একটি চক্র বা সিন্ডিকেট তৈরি হয়। তারা নব্য জেএমবির প্রায় সব অস্ত্র সরবরাহ করছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী জঙ্গিরা হামলা করে এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।

ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গিরা হলো- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল।

ওই ঘটনায় ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মার্চ ২০১৭/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়