ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গুলশান থেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি জব্দ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৮ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গুলশান থেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুল্ক ফাঁকির অভিযাগে কোটি টাকা মূল্যের  গুলশানের বাড়ি থেকে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা।

‘প্রিভিলেজড পারসন’ কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হয়েছিল। গাড়িটি নেপালি নাগরিক সন্তোষ ধুঙ্গানা (প্রাক্তন ইউএনডিপি কর্মকর্তা) ব্যবহার করতেন।

শুল্ক গোয়েন্দার চলমান চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসাবে রোববার বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি জব্দ করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রোববার সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল রিলোকেশন অ্যাসিসটেন্স সার্ভিসেস ও কালাম রিয়েল এস্টেটের সার্ভিসেস) এমডি মো. সালমান কালাম গুলশানের বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। আটকের সময় তিনি কোনো আমদানি বা ক্রয় সংক্রান্ত দলিলাদি শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলকে দেখাতে পারেননি। তবে তিনি উল্লেখ করেন গাড়িটি তার ভাড়াটিয়া নেপালি নাগরিক সন্তোষ ধুঙ্গানা ব্যবহার করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী জনাব ধুঙ্গানা জাতিসংঘের UNDP এর অঙ্গসংগঠন (UNDSS-United Nations Department of Safety & Security) নিরাপত্তা বিভাগের নিরাপত্তা পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ২০১৬ সালের প্রথমভাগে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে UNDP এর কর্মকর্তা মেজর শরীফ অবগত আছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শুল্ক গোয়েন্দার অভিযান চলাকালে সালমান কালাম মোবাইলে মেজর শরীফকে গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দা আটক করে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এবং এই ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে বলেও তিনি মেজর শরীফকে অবহিত করেন।

গাড়ির চেসিস নম্বর সংগ্রহ করে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাড়িটি বাংলাদেশে ‘প্রিভিলেজড পারসন’ কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হলেও পরবর্তী সময়ে কাস্টমস আইনের বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে এটির নিষ্পত্তি না করে জনাব ধুঙ্গানা স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।

শুল্ক গোয়েন্দার নিকট আরো তথ্য ছিল যে, ধুঙ্গানা গাড়িটি অবৈধভাবে এর বর্তমান ব্যবহারকারী জনৈক ননপ্রিভিলেজড পারসনের কাছে হস্তান্তর করে এর মাধ্যমে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যা শুল্ক আইনে শাস্তিযোগ্য। শুল্ক গোয়েন্দার চলমান অভিযানের ফলে গাড়িটি প্রায় ছয় মাস ধরে গুলশানের উক্ত বাসার গ্যারেজে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়