ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ৩ আগস্ট

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ২৭ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ৩ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির দুই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৩ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ঠিক করেন।

বৃহস্পতিবার মামলাটি দুটির মধ্যে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ শুনানি এবং অপর দুই আসামি প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক নুর আহমেদকে জেরার তারিখ ঠিক ছিল।

কিন্তু খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য দুই মামলায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। এ ছাড়া এদিন অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ১৬, ২২, ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর এই ১১ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার জন্য পৃথক তিনটি আবেদন করা হয়। এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে ন্যায়বিচারের স্বার্থে সাক্ষীদের জেরার এ আবেদন করেন।

দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানির জন্য রয়েছে। কিন্ত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তারা সাক্ষীদের পুনরায় জেরার আবেদন করেছেন। তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। আর মামলার অপর দুই সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য না দিলে, সাফাই সাক্ষ্যের কার্যক্রম শেষ করে আগামী রোববার থেকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য বলেন দুদকের এ আইনজীবী।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করলেও সাক্ষীদের পুনরায় জেরার করার আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। এরপর খালেদা জিয়া আইনজীবীরা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন জানিয়ে সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জর করে দুই মামলায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ৩ আগস্ট ঠিক করেন।

এদিকে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এদিন মামলার এক আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন।

এ দিন খালেদা জিয়ার পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, হান্নান ভূঁইয়া, নুরুজ্জামান তপন হেলাল উদ্দিন প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এ মামলার আসামি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৭/মামুন খান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়