ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আব্বাস দম্পতির সম্পদের মামলার প্রতিবেদন ২০ মার্চ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আব্বাস দম্পতির সম্পদের মামলার প্রতিবেদন ২০ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২০ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন মামলার এজাহার আদালতে এলে আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানকালে দুদকে দাখিলকৃত আফরোজা আব্বাসের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড এর শেয়ার ৮ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬টি, যার মূল্য ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের ১ লাখ শেয়ারের মূল্য ১০ কোটি টাকা, এফডিআর ও ডিপিএস-এ বিনিয়োগ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এক কোটি টাকা, আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ প্রদান ৪৫ লাখ টাকা, হাতে নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ৫ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার ক্রয় ৪২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকাসহ মোট ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। মোট ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের ঘোষণা করেছেন।

দুদক জানায়, মিসেস আফরোজা আব্বাস দুদকে দাখিলকৃত ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের উৎস হিসাবে এম.এন.এইচ.বুলুর নিকট হতে দেড় কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ এবং মা-বাবা ও বোনের নিকট হতে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনো দালিলিক তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। এছাড়া বাকি অর্থ অর্জনের স্বপক্ষেও কোনো রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজের অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করণের অসৎ উদ্দেশ্যে দালিলিক প্রমাণবিহীন ভুয়া ঋণ গ্রহণ দেখিয়েছেন।

সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, মিসেস আফরোজা আব্বাসের নামে অর্জিত ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত। তাছাড়া মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সালের পূর্বে উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেন।

এতে করে তারা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধরা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর ১৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়