ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে কষ্ট লাগে, জিতে গেলে আরাম’

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে কষ্ট লাগে, জিতে গেলে আরাম’

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বছর দুয়েক হলো টেস্ট অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান।

ব্যাট-বলের দাপটের কারণেই শীর্ষে আছেন সাকিব। কিন্তু সাকিব কি টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করেন? কিংবা ক্রিকেটের কোন ফরম্যাট সাকিবের বেশি পছন্দের? প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন খুবই ছোট। তবে সাকিবের উত্তর বেশ বড়। বেশ মজার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বেশ ফুরফুরে মেজাজে সাকিব। ২০০৯ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু সাকিবের। এবার দ্বিতীয় দফায় দেশের মাটিতে দায়িত্বও শুরু হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে। তাইতো বেশ আনন্দে সাকিব। দলকে বড় সাফল্য দিয়ে তার মুখে বেশ চড়া হাসি।

সংবাদ সম্মেলনে আসলে সেই হাসি নিয়ে। গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বসলেন প্রায় কুড়ি মিনিট। কথা বললেন মন খুলে। শেষমেশ একটি প্রশ্নই উঠল, টেস্ট কেমন লাগছে সাকিবের?   বাংলাদেশের অধিনায়ক উত্তর দিলেন মন খুলে,

 



কেমন লাগে সাকিবের?

‘‘টেস্টটা শুরু হওয়ার আগে সবচেয়ে কষ্ট লাগে (হাসি)। টেস্ট জিতে গেলে সবচেয়ে আরাম লাগে। কালকেই ড্রেসিং রুমে বলছিলাম, টেস্ট জেতার যে মজা, যে সন্তুষ্টি সেটা অন্য কোনো ফরম্যাটে নেই। বড় বড় ম্যাচ তো জিতেছি কিন্তু ওই মজাটা তো টেস্টের মতো লাগে না। কিন্তু শুরুর আগে অনেক কষ্ট লাগে, চিন্তা হয়।’’

‘‘পাঁচ দিন খেলা, বয়স হয়ে যাচ্ছে! সব কিছু মিলিয়ে খেলার আগে কষ্ট লাগে। যখন খেলার ভেতরে ঢুকে পড়ি, ব্যাটিং রান করি, বোলিংয়ে উইকেট পাই তখন অনেক বেশি মজা লাগে। সেটা ওয়ানডে বলি, টি-টোয়েন্টি বলি তার চেয়ে অনেক বেশি লাগে।’’

চলতি টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে তার ফেরা নিয়ে ছিল শঙ্কা। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সাকিব টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ছিলেন মাঠে। চার সেশন প্রস্তুতি নিয়ে নেমে যান চট্টগ্রাম টেস্টে। নিশ্চিন্তে খেলে ফেলেন ঢাকা টেস্ট। কবে সুবিধা হয়েছে একখানে। দুটি টেস্ট শেষ হয়েছে আড়াই দিনে। সিরিজ শেষে জানালেন কোচ স্টিভ রোডসের জোরাজুরিতেই টেস্ট খেলতে রাজী হয়েছিলেন,

‘‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম টেস্টটা আমি খেলতে চাই নি! একমাত্র কোচের কারণেই খেলাটা হয়েছে। আমি কখনই খেলতাম না। আমাকে যতবার বলেছে, আমি বলেছি আমি পারবো না। কারণ আমার ঐ বিশ্বাসই ছিল না। আপনারা যদি আমার বোলিং দেখেন, আমি তিন-চার ওভারের স্পেল করেছি। কারণ আমার শরীরের অবস্থাই ওই রকম ছিল না। কিন্তু ও (কোচ) যেটা বলেছে যে, তুমি ম্যাচ খেলেই ফিট হতে পারবা। আমার মনে হয় আমি একমাত্র প্লেয়ার ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটে যে ম্যাচ খেলে ফিট হই। তবে একটা জিনিস ভালো যে আমি যে ছোট ছোট অবদান রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে নতুন বলে ব্রেক থ্রু গুলো আমার কাছে মনে হয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ ডিসেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়