ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গ্যালারিতে আগুন, চোখে জল ভারতীয় ক্রিকেটারদের

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১৩ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্যালারিতে আগুন, চোখে জল ভারতীয় ক্রিকেটারদের

ক্রীড়া ডেস্ক : কপিল দেবের হাত ধরে স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল একবার। বিশ্বমঞ্চে বিশ্বকাপের ট্রফি উচিয়ে ধরার সুযোগ সেবার প্রথম পেয়েছিল ভারত। এরপর ২৮ বছরের অপেক্ষা।

মাহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে ভারত পায় দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ট্রফি। অতো বছর অপেক্ষা করার প্রয়োজন হতো না যদি ভারতীয় সমর্থকরা উগ্র না হতেন! ঘটনাটা ১৯৯৬ সালের আজকের দিনেই।

 



ইডেন প্রায় ৬৫ হাজার দর্শকের সামনে সেমিফাইনালে মাঠে নেমেছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। মাঠের পারফরম্যান্স যেমন-তেমন হলেও ভারতীয়দের উগ্র আচরণের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায় ভারতের।

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫২ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটে লক্ষ্যে পথে এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত। কিন্তু শচীন (৬৫) দলীয় ৯৮ রানে আউট হওয়ার পর ব্যাটিং ধস নামে ভারতের ইনিংসে। আশিস কাপুর যখন আউট হন তখন ভারতের রান ৮ উইকেটে ১২০। ৩৪.১ ওভারে ওই রান ভারতের। জয়ের জন্য শেষ ২ উইকেটে দরকার ৯৫ বলে ১৩২ রান।

 



পরিসংখ্যান বলছে ভারতের পক্ষে ওই সময়ে ওই ম্যাচ বের করে আনা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু জয়ের স্বপ্ন দেখতে তো দেখতে দোষ নেই। কিন্তু পরিস্থিতি মানতে পারেনি ইডেনের সমর্থকরা। গ্যালারিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে বোতল, পাথর ইত্যাদি ছোড়া শুরু করে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার শঙ্কায় খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড। কিছুক্ষণ পরই শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তাতেই শিরোপার স্বপ্ন শেষ ভারতের। মাঠে উপস্থিত ছিলেন বিনোদ কাম্বলি। শচীনের বাল্যবন্ধু এবং বহুদিনের সতীর্থ কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন। ড্রেসিং রুমে কাঁদছিলেন সবাই।

ক্রিকেট খেলা চরম অনিশ্চয়তার খেলা। ভাগ্যদেবী সাথে থাকলে হয়তো সেদিন শ্রীলঙ্কা কোনোভাবেই জয়ের মুখ দেখত না! ভারতের জয় হতো কোনো না কোনোভাবে। দেবদূত হয়ে দাঁড়িয়ে যেতেন কেউ না কেউ। সমর্থকদের উগ্র আচরণের স্বপ্নের সমাধি দিতে হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এটা অবশ্য নতুন নয় তাদের জন্য।

 



বিশ্লেষণে দেখা যায়, মাঠে উশৃঙ্খলতা এবং উগ্র আচরণে ভারতীয় দর্শকেরা এগিয়ে। ভারতের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বারবারই বাধাগ্রস্ত হয়েছে দর্শকদের উগ্র আচরণে। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের সেমিফাইনাল বাদেও আছে ১৯৬৭ সালে ইডেনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট, ১৯৬৯ সালে বোম্বেতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট, ২০০২ সালে জামশেদপুরে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট এবং ১৯৯৯ সালে ইডেনে ভারত-পাকিস্তানের এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়