ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পরলোকে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার ব্রুস ইয়ার্ডলি

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২৭ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পরলোকে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার ব্রুস ইয়ার্ডলি

ক্রীড়া ডেস্ক : ছিলেন মূলত অফ স্পিনার। তবে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার একটি ব্যাটিং রেকর্ড ৩৮ বছর ধরে ছিল তার দখলে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন সেই স্পিন বোলার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার ব্রুস ইয়ার্ডলি মারা গেছেন।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে বুধবার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কুনুনুরা ডিসট্রিক্ট হাসপাতালে ৭১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ইয়ার্ডলি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৩টি টেস্ট ও ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মিডল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা ইয়ার্ডলি ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পেস বোলার হিসেবে। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক। প্রায় এক দশক পর তিনি পেস বোলার থেকে অফ স্পিনার হয়ে যান এবং ডাক পান অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে।

ইয়ার্ডলির টেস্ট অভিষেক হয় ১৯৭৮ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার ৪৭ রানে জয়ের সেই ম্যাচে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। এরপর দ্রতই তিনি হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার মূল স্পিন বোলার।
 


দুর্দান্ত গালি ফিল্ডারের পাশাপাশি ভালো লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিল তার। অভিষেকের বছরই বার্বাডোজে আট নম্বরে নেমে টেস্ট ফিফটি করেন মাত্র ২৯ বলে। তাও আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়েল গার্নার, কলিন ক্রফটদের নিয়ে গড়া সেই পেস আক্রমণের সামনে। ৯ চার ও ২ ছক্কায় তার পঞ্চাশের ৪৮ রানই এসেছিল বাউন্ডারি থেকে!  

ইয়ার্ডলির ২৯ বলে পঞ্চাশ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রততম টেস্ট ফিফটির রেকর্ড হিসেবে টিকে ছিল ৩৮ বছর। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ২৩ বলে ফিফটি করে ইয়ার্ডলির রেকর্ডটা নিজের করে নেন ডেভিড ওয়ার্নার।

ইয়ার্ডলির ম্যাচ ও ইনিংস সেরা বোলিং- দুটিই ১৯৮২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৮ রানে ৭ উইকেটসহ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। সব মিলিয়ে টেস্টে তার শিকার ১২৬ উইকেট। কখনো অবশ্য ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলা হয়নি তার।

খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। স্থানীয় ক্লাবের পাশাপাশি তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচও ছিলেন। মুত্তিয়া মুরালিধরনকে দুসরা বোলিংয়ে অনুপ্রাণিত করেছিলেন তিনিই। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আগে ইয়ার্ডলি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ধারাভাষ্যও দিয়েছেন। 




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মার্চ ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়