ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ওয়ালটন ক্রিকেট কার্নিভালের প্রশংসায় সুজন-পাইলট-বাশার

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২২, ২৬ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ক্রিকেট কার্নিভালের প্রশংসায় সুজন-পাইলট-বাশার

ক্রীড়া প্রতিবেদক, কক্সবাজার থেকে : প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মিলনমেলা বসেছে কক্সবাজারে। দুই যুগ আগে ব্যাট-বল তুলে রাখা বাংলাদেশের ক্রিকেট কিংবদন্তিরা আবার মাঠে নেমেছেন। লড়ছেন বিজয়ের লক্ষ্যে। তাদের চোখে-মুখে শিরোপা জয়ের আকাঙ্খা। কেউ মুখে স্বীকার না করলেও জিততে চান সবাই। কার্নিভাল হলেও ভেতরে ভেতরে বিরাজ করছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। যারা ক্রিকেট ছেড়ে অন্য পেশায় প্রবেশ করেছেন তারাও ব্যাট-বল হাতে তুলে নিয়েছেন। এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন, যাদের স্ত্রীরা কখনো তাদের খেলা দেখতে পারেননি। কারো স্ত্রী খেলা দেখলেও তাদের সন্তানেরা তাদের পেশাদার ক্রিকেট খেলাটা দেখতে পারেনি। এই কার্নিভালের মাধ্যমে তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছে। বিষয়টি তারা বেশ উপভোগও করছে।

তাই তাদের প্রশংসায় ভাসছে ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল। খালেদ মাসুদ সুজনের ভাষায়, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটটা চাপের হয়। কিন্তু এই ক্রিকেটটা আনন্দের। উপভোগের। তারপরও যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না, এমন নয়। সবাই জিততে চায়। কিন্তু প্রকাশ করে না কেউ। মুখে মুখে বলে আমরা ফান করব। উপভোগ করব। কিন্তু যখন মাঠে নামে তখন সবাই বেশ সিরিয়াস। আগে আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম তখন সেটা চাপের ছিল। ক্লাবের পক্ষ থেকে একটা চাপ থাকত জিততে হবে, ভালো খেলতে হবে। এখানে সেই চাপ নেই। এখানে খেলাটা বেশ আনন্দের। সবাই মিলে আনন্দ করছি। তবে খেলাটা যে শেষ পর্যন্ত হচ্ছে, সেটার জন্য খুবই খুশি আমরা। কারণ বৃষ্টির কারণে এক সময় শঙ্কা জেগেছিল এই টুর্নামেন্ট নিয়ে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যারা এক সময় ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু পরে পেশা বদল করেছেন। অনেকদিন পর তাদের সঙ্গে আবার দেখা হচ্ছে। বেশ ভালো লাগছে। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সবাই মিলে সেই পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যেতে পারছি। আসলে আমাদের রক্তের সঙ্গে তো ক্রিকেটটা মিশে আছে।’

একমি রাজশাহী মাস্টার্সের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘খুবই দারুণ একটি টুর্নামেন্ট। আমরা সবাই খুব উপভোগ করছি। খেলার বাইরেও বেশ আনন্দ হচ্ছে। এতগুলো পুরাতন খেলোয়াড় আবার আমরা একসঙ্গে হতে পেরেছি। উপভোগ করছি। তবে, খেলার মাঠে সবাই খুব সিরিয়াস। কে কীভাবে জিতবে, সেই পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামছে এবং খেলছে। আসলে যখন আমরা ক্রিকেট খেলতাম তখন যে মানসিকতা নিয়ে খেলতাম, সেই একই মানসিকতা নিয়ে খেলছি। হয়তো আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিজিক্যালি একটু পিছিয়ে পড়েছি। তবে খুবই উপভোগ করছি এই টুর্নামেন্ট।’

টাইটান্স খুলনা মাস্টার্সের হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টে খেলছি। খুবই ভালো লাগছে। দারুণ উপভোগ করছি সবাই। কার্নিভাল হলেও সবাই কিন্তু মাঠে সিরিয়াস। প্লেয়ার ড্রাফট হয়ে যাওয়ার পর থেকেই অনেকে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। প্রতিপক্ষকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছে। ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা সাজিয়েছে। কার্নিভাল হলেও সবাই জিততে মারিয়া। আমরা তো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ শিরোপা ধরে রাখার।’



রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/২৬ জুলাই ২০১৭/আমিনুল/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়