ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঈদের রেশ কাটেনি নিত্যপণ্যের বাজারে

মামুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৭ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদের রেশ কাটেনি নিত্যপণ্যের বাজারে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পুরো রমজান মাসজুড়ে বেড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারদর। বিশেষ করে যেসব পণ্য রমজানে বেশি প্রয়োজন হয়, এমন পণ্যের দাম অনেক বেশি বেড়েছে ওই সময়।


তবে রমজান শেষ হয়েছে এক সপ্তাহের ওপরে হয়। কিন্তু এখনো রমজান আর ঈদের রেশ কাটেনি নিত্যপণ্যের বাজারে। আগের মতোই আছে পণ্যের দাম। পাশাপাশি যোগ হয়েছে সবজি-মাছ সংকট। ফলে বেড়েছে সবজি-মাছের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের বাজার।


সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার বেড়ে যেমনটি হয়েছিল এখন ঠিক সে রকমই আছে। তেমন কমেনি কোনো পণ্যের দাম। বরং বেড়েছে অনেক পণ্যের দর। রমজানে নিত্যপণের দাম তিন ধাপে বেড়েছিল। টমেটো রমজানের শেষের দিকে ছিল ১০০ টাকা কেজি। আজো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। তবে কমেছে বেগুন, মরিচ ধনিয়ার দাম। এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৬০, ৮০ এবং ৩০০ টাকা কেজি। স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর, পেঁপে, শসার দাম। এ ছাড়া কুমড়া, করলা, আলু, ঢেঁড়স, পটোল, চিচিংগা, ঝিঙা, বরবটি রমজানের শেষের দিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


এ ছাড়া বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। টেংরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। রুই সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি। পুঁটি ৫০০ টাকা। শিং-মাগুর ৬০০ টাকা কেজি। পাঙাশ, কই, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি ধরে। এ ছাড়া অন্যান্য মাছের দামও অনেক বেশি। গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে।


খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে সরবরাহ কম হওয়ায় কেনা পড়ে বেশি, তাই বিক্রিও করতে হয় একটু বেশি দামে। ফলে পাইকারি বাজারে কিছুটা সবজি সংকট রয়েছে।


তেলের দর ৯৭ থেকে ১০২ টাকা লিটার। চিনি ৪৫ টাকায়। পেঁয়াজ ৪৫ টাকায়, আদা-রসুন ১০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এগুলো রমজানে আমদানি হয়েছে। নতুন করে আমদানি না হওয়ায় দাম আগের মতোই আছে।


খিলগাঁও বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আলতাফ রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে আনি। তাই বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। এ ছাড়া বৃষ্টি-বন্যার কারণে বাজারে এখন পণ্যের সরবরাহ কম।


কথা হয় শান্তিনগর বাজারে আসা ক্রেতা কুয়েতপ্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তার ভাষায়, এ দেশে কোনো কিছু বাড়লে সহজে কমে না। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে রমজানের সময় পণ্যের দাম অনেক কম থাকে। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা দাম কমায়। কিন্তু এ দেশে বাজারে কোনো তদারকি নেই। ফলে যে যেভাবে পারছে মানুষের পকেট কাটছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৫/মামুন/দিলারা/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়