গাবতলীতে সংঘর্ষের মামলায় ৭ শ্রমিক রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় সাত পরিবহন শ্রমিকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আলমগীর কবির রাজের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। সাত শ্রমিক হচ্ছে- রফিকুল ইসলাম, হাসানুর, রবিন, মো. সোহেল, ফজলে রাব্বী, আলামিন ও এনামুল হক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. যোবায়ের আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা উদঘাটনের লক্ষ্যে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জোহা আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের শিবালয়ে শালজানা গ্রামে ‘কাগজের ফুল’ ছবির শুটিং স্পট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জোকা এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন।
ওই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স বাসচালক জামির হোসেনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের আদালত আসামি জামিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া গত সোমবার সাভারের একটি মামলায় আদালত ট্রাক চালকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
এর প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। মঙ্গলবার ও বুধবার ধর্মঘট চলাকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় পরিবহন শ্রমিকরা। গাবতলীর তিন রাস্তার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের গাড়ির ক্ষতিসাধন করে।
এসব ঘটনায় দারুস সালাম থানায় তিনটি মামলা হয়। তার মধ্যে একটি মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক বিশ্বজিত পাল। এই মামলায় আদালত সাত শ্রমিকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ মার্চ ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন