ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কাস্ত্রোর শেষ শ্রদ্ধায় লাখো মানুষ

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কাস্ত্রোর শেষ শ্রদ্ধায় লাখো মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার প্রয়াত বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাই প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো।

 

ভক্ত, সমর্থক, গুণগ্রাহী ও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা শেষ শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সান্তিয়াগো শহরে সেই স্থানে ফিদেল কাস্ত্রোর দেহভস্ম রাখা হয়েছে, যেখান থেকে বিপ্লব শুরু করেছিলেন এবং রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

 

ফিদেলের নেতৃত্বে বিপ্লবের মাধ্যমে যে সাম্যবাদী নীতি ও লক্ষ্য স্থির হয়, কিউবায় তা জারি রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তার ভাই কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো।

 

২৫ নভেম্বর ফিদেল কাস্ত্রোর মহাপ্রয়াণ হয়। তার মৃত্যুতে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়। ফিদেলের দেহভস্ম রাজধানী হাভানায় চার দিন রাখা হয়, যেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় সবস্তরের মানুষ। শনিবার তার দেহভস্ম সান্তিয়াগো শহরে আনা হয়। স্থানীয় সময় ৪ ডিসেম্বর রোববার এ শহরে তার ভস্মাধার সমাহিত করা হবে।

 

রাইল কাস্ত্রো জানিয়েছেন, কিউবায় ফিদেলের কোনো মূর্তি, ভাস্কর্য বা স্মৃতিফলক করা হবে না। মৃত্যুর আগে ফিদেল নিজেই এ ধরনের কোনো কাজ করতে নিষেধ করে গেছেন। রাউল বলেন, ‘বিপ্লবের নেতা ব্যক্তিকে মূর্তিমান করার প্রথার ঘোর বিরোধিতা করতেন।’ তিনি আরো বলেন, তার নামে কোনো রাস্তার নামকরণও করা হবে না।

 

 

সান্তিয়াগোর রাস্তায় জড়ো হয়ে লাখো মানুষ স্লোগান দেন, ‘দীর্ঘজীবী হও ফিদেল’, ‘আমিই ফিদেল’।

 

আমাদের কাছে তিনি পিতা

ফিদেলে শেষ শ্রদ্ধায় অংশ নিয়েছেন ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া ও বলিভিয়ার নেতারা।

 

শ্রদ্ধানুষ্ঠানে অংশ নেওয়া তানিয়া মারিয়া জিমেনেজ বলেছেন, ‘আমাদের যারা ফিদেলকে ভালোবাসে, তাদের কাছে তিনি আমাদের পিতা।’ সান্তিয়াগোর মনকাডা ব্যারাকে ফিদেলের ভস্মাধারবাহী গাড়ি প্রদক্ষিণের সময় উপস্থিত ছিলেন জিমেনেজ। ১৯৫৩ সালের ২৬ জুলাই এ ব্যারাকে ফিদেলের নেতৃত্ব হামলার মধ্য দিয়ে বিপ্লব শুরু হয়। এ বিপ্লবে ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি পতন হয় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট কিউবার একনায়ক ফুলসেনজিও বাতিস্তার।

 

একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় কিউবাকে অর্ধশতাব্দী শাসন করা ফিদেলকে নিয়ে মতবিরোধ আছে। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বে তিনি মহানায়ক, পুঁজিবাদী বিশ্বে তিনি খলনায়ক। তার মৃত্যুতে কিউবা যখন শোকে স্তব্ধ, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহরে নির্বাসিত কিউবানরা তার মৃত্যু উপলক্ষে আনন্দ উৎসব করে। সমালোচকদের কাছে, ফিদেল একজন স্বৈরশাসক। তার সমর্থকদের কাছে তিনি মহান পিতা।

 

১৯৫৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একটানা কিউবা শাসন করেন ফিদেল। স্বাস্থ্য ভেঙে পড়লে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে অবসর নেন সাম্যবাদের এই মহান নেতা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৬/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়