ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বায়ার্নকে বিদায় করে ফাইনালে অ্যাটলেটিকো

পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ৪ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বায়ার্নকে বিদায় করে ফাইনালে অ্যাটলেটিকো

ফাইনালে ওঠার পর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের উল্লাস

ক্রীড়া ডেস্ক : বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থকরা হয়তো আফসোসেই পুড়ছেন। ইশ! থমাস মুলার যদি পেনাল্টিটা মিস না করতেন! পেনাল্টি মিস করেছেন তো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ফার্নান্দো তোরেসও। তাতে অবশ্য অ্যাটলেটিকোর সমর্থকদের আফসোসের কিছু নেই!

 

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মঙ্গলবার বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে হেরেও যে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ফাইনালে উঠে গেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাতে ৪২ বছরের পুরনো একটা হিসাবও চুকিয়ে ফেলল স্প্যানিশ ক্লাবটি। ১৯৭৪ সালে ইউরোপ সেরার ফাইনালে এই বায়ার্নের কাছে হেরেই যে শিরোপা খুইয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

 

সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে ছিল অ্যাটলেটিকো। বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে হারলেও মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলটাই তাদের ফাইনালের টিকিট এনে দিল।

 

আর বায়ার্ন টানা তিন মৌসুমেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল। আফসোসটা তাই বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলারও। বায়ার্নের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্নটা যে অধরাই থেকে গেল তার।

 

২০১৩-১৪ মৌসুমে বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পর ইউরোপ সেরার মঞ্চে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল গার্দিওলার বায়ার্ন। পরের মৌসুমে তার দলকে শেষ চার থেকে বিদায় করেছিল বার্সেলোনা। আর এই মৌসুমে স্পেনেরই আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকো।

 

অথচ ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ৩১ মিনিটে ফ্রি-কিকে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জাভি আলোনসো। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬৬৩ মিনিট পর অ্যাটলেটিকোর জালে কেউ বল জড়ালেন!

 

তিন মিনিট পরেই লিড দ্বিগুণ হতে পারতো স্বাগতিকদের। পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন থমাস মুলার। তার শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক অবলাক।

 

উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোল পেয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। ফার্নাদো তোরেসের পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন অ্যান্তোনি গ্রিজমান।

 

এই গোলের পরই ফাইনালে ওঠার পথে অনেকটা এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। কারণ দুই লেগ মিলিয়ে তখন ২-১ গোলে এগিয়ে তারা, একটি আবার অ্যাওয়ে গোল। ফাইনালে উঠতে তখন বায়ার্নের চাই কমপক্ষে দুই গোল।

 

৭৪ মিনিটে রবার্ট লেভানডফস্কি গোল করে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইনে ২-২ সমতা ফেরালে আশায় বুক বেঁধেছিল অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার ৭০ হাজার দর্শক।

 

৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার তোরেসের শট ঠেকিয়ে দিয়ে বায়ার্নকে লড়াইয়ে টিকে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৫৩ মিনিটে গ্রিজমানের করা মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলটিই অ্যাটলেটিকোকে ফাইনালে টিকিট পাইয়ে দেয়।

 

বুধবার আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। এই দুই দলের যে কারো সঙ্গেই আগামী ২৮ মে মিলানের সান সিরোয় ফাইনালে নামবে অ্যাটলেটিকো। ফাইনালটা কি তাহলে ২০১৩-১৪ মৌসুমের মতো আবারও মাদ্রিদের দুই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর হতে যাচ্ছে?

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৬/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়