ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তাইওয়ান নিয়ে নীতি ভাঙলেন ট্রাম্প

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তাইওয়ান নিয়ে নীতি ভাঙলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তাইওয়ান নিয়ে নীতি ভাঙলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেছেন। ১৯৭৯ সালে এ দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট বা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাইওয়ানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলেন।

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও ইং-ওয়েনের কথোপকথনে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারের বিষয়গুলো এসেছে।

তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যোগাযোগের ঘটনা চীনকে খেপিয়ে তুলতে পারে। এখনো একটি প্রদেশ হিসেবে তাইওয়ানকে বিবেচনা করে চীন।

ট্রাম্প এক টুইটে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানাতে ইং-ওয়েন তাকে ফোন করেছিলেন। তা ছাড়া, ট্রাম্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইং-ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্প তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ফোন দেওয়ার এ ঘটনাকে তাইওয়ানের ‘ক্ষুদ্র পদক্ষেপ’ হিসেবে মনে করে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা।

ফোনালাপে চীন ক্ষুব্ধ হতে পারে- গণমাধ্যমের এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প আরেক টুইটে জানিয়েছেন, ‘মজার বিষয়। তাইওয়ানের কাছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জামাদি বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র অথচ আমি অভিনন্দন জানাতে দেওয়া ফোন কল ধরতে পারবে না।’

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্পের কথোপকথন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত বহন করে না। ট্রাম্পের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের কী ধরনের সম্পর্ক চলছে, এ বিষয়ে ট্রাম্প ‘সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল’।

চীনের ‘এক দেশ নীতি’ সমর্থন করে তাইওয়ানের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ওয়াশিংটন। চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদের অংশ।

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক দেখে মনে হয়, গলায় ছুরি ধরে রাখার মতো অবস্থা। শত শত ক্ষেপণাস্ত্র তাইওয়ানের দিকে তাক করে রেখেছে চীন। তারা স্বাধীনতা চাইলে শক্তি প্রয়োগে যাবে চীন।

ফোন কলের খবরের প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ অথবা সামরিক যোগাযোগের বিরোধিতা করে চীন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপল’স ডেইলির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

তিনি মনে করেন, চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। চীনের ‘এক দেশ নীতি’-কে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে- এই ভিত্তির ওপর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে।

সাই ইং-ওয়েন তাইওয়ানের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্রেটিক প্রোগেসিভ পার্টি (ডিপিপি) থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ইং-ওয়েন তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে। তার সরকার এক দেশ নীতি মানতে চায় না। তার সময়ে বেইজিং-তাইপে সম্পর্কে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

প্রায় চার দশক আগে দাপ্তরিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলেও তাইওয়ানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানে সামরিক অস্ত্র ও রসদ বিক্রি করে তারা।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ ডিসেম্বর ২০১৬/রাসেল পারভেজ/এএন 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়