ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বোল পাল্টালেন সাংসদ লতিফ

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বোল পাল্টালেন সাংসদ লতিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:  মাত্র ২৪ ঘণ্টা পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপকে দায়ী করেছিলেন। ২৪ ঘণ্টা পর রোববার দুপুরে দ্বিতীয় দফা সংবাদ সম্মেলন করে এম এ লতিফ বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির জন্য তার একজন কর্মচারী এবং ব্যানার ফেস্টুন তৈরির সঙ্গে জড়িত একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অভিযুক্ত করে সব দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে এম এ লতিফ বলেছেন, ছবি বিকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে যে শাস্তি দেবেন তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।

চট্টগ্রাম বন্দর পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দ্বিতীয় দফায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে এম এ লতিফের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছবি বিকৃতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত চট্টগ্রাম চেম্বারের কর্মচারী রাজীব দাশ এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার কবির হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে এম এ লতিফ বলেন, জাতির জনকের ছবি বিকৃতি নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আমি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের একটি অংশকে দায়ী করেছিলাম।  গণমাধ্যমে আসল বিষয়টি আসার পর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমি কথা বলে সত্য উদঘাটন করতে পেরেছি। এই জন্য নগর আওয়ামী লীগের একাংশের বিরুদ্ধে করা আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগনমনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত থাকায় অনাকাক্সিক্ষতভাবে ডিজাইনারদের কারণে ভুলটি হয়েছে। সেজন্য দল এবং প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে শাস্তি দেবেন আমি সেটি মাথা পেতে নেব। এ ছাড়া এনিয়ে যে মামলা হয়েছে, সেটি আমি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।

লতিফ আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আমি নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেব। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের কারণে জাতির কাছে আমি নিলাম হয়ে গেলাম। সারা দেশে আমার মান সম্মান সব ধুলোয় মিলিয়ে গেল। সব সফলতার মধ্যে ব্যর্থতাও থাকে। আমি ফেরেস্তা না, শয়তানও না। আমারও  ভুল থাকতে পারে। এই ধরনের ঘৃৃণ্য কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না হলেও চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এর দায় দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবিযুক্ত ফেস্টুনের ডিজাইনার কবির হোসেন বলেন, ফেস্টুনে ব্যবহৃত বঙ্গবন্ধুর ছবির রেজুলেশন কম হওয়ায় আমি আর রাজীব দাশ মিলে এমপি স্যারের (এম এ লতিফ) ছবি থেকে মাথা কেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে ফেস্টুন ডিজাইন করেছি। এখানে এমপি স্যারের কোনো হাত নেই। বিষয়টি উনি কোনোভাবেই জানতেন না। সব দায় আমার আর রাজীবের।

একই সময়ে পাশে থাকা চেম্বার কর্মকর্তা রাজীব দাশও বিষয়টি স্বীকার করে নিজের কাঁধে দায় নেন।

 

 

 


রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/রেজাউল করিম/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়