ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এলডিসি থেকে উত্তরণ খুশির এবং চ্যালেঞ্জের: বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১৭ এপ্রিল ২০২২  
এলডিসি থেকে উত্তরণ খুশির এবং চ্যালেঞ্জের: বাণিজ্যমন্ত্রী

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘এটা একদিকে আমাদের জন্য খুশির খবর, অপরদিকে চ্যালেঞ্জের। এ অর্জন আমাদের সফলতার। আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের তৈরী হতে হবে। কাজ করতে হবে গভীরভাবে। বুঝে ও জেনে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’

রোববার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পর্যটন ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন দ্য প্রপোজড টাইমবাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান অব এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন রিলেটেড সাব-কমিটি: প্রিফারেনসিয়াল মার্কেট একসেস অ্যান্ড ট্রেড এগিমেন্ট অ্যান্ড ডব্লিউটিও ইস্যুজ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, প্ল্যানিং কমিশনের এগ্রিকালচার, ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড রুরাল ইনস্টিটিউশনস ডিভিশনের সদস্য (সচিব) শরিফা খান এবং এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের অনেক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা দিলেও অনেক শর্ত পূরণ করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা আদায় করতে পিটিএ বা এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এজন্য সাময়িকভাবে আমরা কিছু শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা লাভবান হবো।’

তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হলে যোগ্য ও দক্ষ মানুষ গড়ে তুলতে হবে। বিদেশি দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। আমাদের কাজ আমাদেরই দক্ষতার সাথে করতে হবে। যোগ্য ও দক্ষ মানুষগুলোকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে হবে। আমাদের সক্ষমতা অর্জনের বিকল্প নেই। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তৈরী হতে হবে এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরকেও সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে।’

ওয়ার্কশপের টেকনিকেল সেশন-১ এ প্রিফারেনসিয়াল মার্কেট এক্সসেস অ্যান্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট-বিষয়ক সেশনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য ((পিআরএল) ড. মোস্তফা আবিদ খান। আলোচনায় অংশ নেন—পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যান্যুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস পলিসি) মো. মাসুদ সাদিক এবং এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।

ওয়ার্কশপের টেকনিকেল সেশন-২ এ ডব্লিউটিও ইস্যুজ বিষয়ে প্ল্যানিং কমিশনের এগ্রিকালচার, ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড রুরাল ইনস্টিটিউশনস ডিভিশনের সদস্য (সচিব) শরিফা খানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন— ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপার্ট নেসার আহমেদ, বিআইডিএসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মনজুর হোসেইন এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ।

হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়