ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পরিচালকরা শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে এক্সেলসিয়র সুজের পর্ষদ পুনর্গঠন

নাজমুল ইসলাম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৮, ১৯ জুন ২০২২  
পরিচালকরা শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে এক্সেলসিয়র সুজের পর্ষদ পুনর্গঠন

দীর্ঘ দিন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পড়ে থাকা কোম্পানি এক্সেলসিয়র সুজকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করতে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের জন্য পরিচালকদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ পুনর্গঠন করবে বিএসইসি।

বর্তমান কমিশন দীর্ঘদিন ওটিসিতে পড়ে থাকা কোম্পানিগুলোকে সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এক্সেলসিয়র সুজকে সচল করতে কোম্পানির পর্ষদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে কমিশন। প্রথম বৈঠকে কোম্পানির পর্ষদকে আগামী ৫ বছরের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দিতে বলেছে কমিশন। কিন্তু, দীর্ঘ এক মাসেও কমিশনকে কোনো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জানাতে পারেনি এক্সেলসিয়র সুজের পর্ষদ।

এদিকে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটি পরিদর্শন করে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাও পর্যালোচনা করেছে বিএসইসি। সব মিলিয়ে বিএসইসি কোম্পানির আইন পরিপালনের ওপর জোর দিয়েছে। তাতে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পরিচালকদের জন্য আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা দিয়ে গত সপ্তাহে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। এই সময়ের মধ্যে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে কমিশন কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করবে বলে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।

বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘এক্সেলসিয়র সুজকে সচল করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আইন পরিপালনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিচালকরা শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেবে কমিশন।

ডিএসইতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৩০ লাখ। রোববার (১৯ জুন) পর্যন্ত কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে পরিচালকদের কাছে ৬.৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট ৭০.৭০ শতাংশ শেয়ার আছে।

মূলধনের প্রয়োজন মেটানো এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে ১৯৯৭ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল এক্সেলসিয়র সুজ। তালিকাভুক্তির পর থেকে ২০০৩-০৪ অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানিটি ভালো ব্যবসা করেছে। কিন্তু, এরপর থেকেই কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থান অবনতি হতে থাকে। তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে কোম্পানিটি পুনরায় মুনাফায় ফেরে, যা ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর পর থেকে কোম্পানিটি সঠিকভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।

এনএফ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়