ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাকৃবিতে ভ্রুণ স্থানান্তরের মাধ্যমে ভেড়া’র বাচ্চা

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
বাকৃবিতে ভ্রুণ স্থানান্তরের মাধ্যমে ভেড়া’র বাচ্চা

ভেড়া’র বাচ্চা

আবু সালেহ মো: মূসা
ময়মনসিংহ, ২৭ সেপ্টেম্বর: ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি দীর্ঘ দু’বছর গবেষণা চালিয়ে প্রথমবারের মতো ভ্রূণ স্থানান্তরের মাধ্যমে ভেড়ার বাচ্চা উৎপাদন করা সম্প্রতি এ সাফল্য অর্জন করেন।

গবেষক ড. ফরিদা বলেন, ‘দেশে প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ ও দরিদ্র মানুষজনকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে একটি পন্থা বের করাই এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।’

বিএস ও ইউএসডিএ’র আর্থিক সহযোগিতায় তিন বছর মেয়াদি ‘স্পিড আপ অব জেনেটিক ইম্প্রুভমেন্ট অব ইনডিজিনিয়াস শিপ থ্রো মাল্টিপল অবোলেশন অ্যান্ড এমব্রো ট্রান্সফার (এমওইটি) টেকনিক’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করছেন ড.ফরিদা ইয়াসমিন।

ভ্রূণ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নত জাতের ভেড়ার ওপর স্টাডি করে সেখান থেকে ভ্রূণ সংগ্রহ করে গ্রহণকারী ভেড়ির গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। গর্ভকালীন সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি এসব দেশীয় ভেড়ি বাচ্চা প্রসব করে।

তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশে পশুপালন যেমন একটি শখ তেমনি পরিবার ও সমাজকেও স্বাবলম্বী করে তোলে। কিন্তু আমাদের দেশীয় জাতের এসব গবাদি পশু তেমন মোটাতাজা  হয় না বলে  প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ হয় না। এই পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া বাংলাদেশে এটাই প্রথম বাচ্চা তবে তিন বছর মেয়াদী প্রকল্প শেষ হলে আশা করি ভাল কিছু করতে পারবো।’

ফরিদা ইয়াসমিন বারি আরও জানান, ‘দেশে উন্নত জাতের ভেড়া উৎপাদনে এবং এটি প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ এখনও চলমান। দেশীয় ভেড়ির অধিকতর ভ্রূণ উৎপাদন, সংগ্রহ এবং স্থানান্তরের কৌশল উদ্ভাবনে দীর্ঘ দুই বছর ধরে এ প্রকল্পে কাজ করছি।’

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু)’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল বারির সহধর্মিনী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এ কৌশলটি প্রতিষ্ঠিত হলে অল্প সময়ের মধ্যে দেশীয় ভেড়ার গুণগত জাত উন্নয়ন এবং সংখ্যাবৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক পরিবারের আর্থিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের স্থন্যপায়ী প্রাণি এই ভেড়ার উৎপাদন নিয়ে গবেষণা প্রকল্পে সহযোগী গবেষক হিসেবে আছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম। 

এছাড়া হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা: বেগম ফাতেমা জোহরা এবং মোহাম্মদ ফারুক ইসলাম পিএইচডি ফেলো হিসেবে ওই প্রকল্পে কাজ করছেন।

প্রকল্পটিতে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) পিএইচডি ফেলো ডা. আজিজুন্নেছা।

 

 

রাইজিংবিডি/আইএইচ/এলএ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়