ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সাবরিনার খালাস দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ১৪ জুন ২০২২   আপডেট: ১৯:৩০, ১৪ জুন ২০২২
সাবরিনার খালাস দাবি

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরীর খালাস দাবি করেছেন তার আইনজীবী।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ডা. সাবরিনার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দাবি জানান সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী।

রাষ্ট্রপক্ষে থেকে নেওয়া সাক্ষীর জবানবন্দি, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদন কোনোটাই সাবরিনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে না বলে আদালতে দাবি করেছেন এ আইনজীবী। হয়রানি করার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সাবরিনাকে নির্দোষ দাবি করে তার খালাসের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী।

আগামী ২০ জুন অপর আসামিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।

গত ৮ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহাম্মদ যুক্তিতর্ক শেষ করেন। তারও খালাস দাবি করেছেন আইনজীবী। গত ১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

গত ২০ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। এর পর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন—সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়