ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই দাবি জানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সোহেল রানা

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০০, ১৮ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২০:১৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই দাবি জানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সোহেল রানা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী সোহেল রানা। প্রকৃত নাম মাসুদ পারভেজ। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে পর্দা কাঁপানো নায়ক সোহেল রানার চলচ্চিত্রে আগমন প্রযোজক হিসেবে। একাধারে তিনি প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা। পর্দায় তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

গতকাল ১৭ জানুয়ারি আজীবন সম্মাননা ক্রেস্ট প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এরপর তার বক্তব্যে এই চিত্রনায়ক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তদের জন্য বিশেষ স্বীকৃতির দাবি জানান। একইসঙ্গে চলচ্চিত্রের সাধারণ মানুষও যাতে যে কোনো বিপদে এফডিসির এমডির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে পারেন সে বিষয়ে বলেন। তার এ দুটি দাবি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। 

গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহেল রানার বক্তব্যের প্রশংসা করে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। নির্মাতা সাঈদুর রহমান সাঈদ তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন: ‘আজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেল। সবচেয়ে ভালো লাগলো আজীবন সম্মাননায় মাসুদ পারভেজ এর মূল্যায়ন। একটি সঠিক সিদ্ধান্ত জুরিবৃন্দ দিয়েছেন। মাসুদ পারভেজ প্রযোজক ও পরিচালক সমিতির সভাপতি ছিলেন। শুধু তাই না। একজন সফল নায়ক। একজন রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার অধিকারী। পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তার কথাগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। চলচ্চিত্র পরিচালক শিল্পী কলাকুশলীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য তার আবেদন আমাদের আপ্লুত করেছে।’

এদিকে সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ লিখেছেন: ‘আজ ১৭ জানুয়ারি-২০২১। সকালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯-এর অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা গ্রহণের পর পারভেজ ভাই ( চিত্রনায়ক ও প্রযোজক সোহেল রানা) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দুটো অনুরোধ করেন । ১) আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত সবাইকে ভিআইপি ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে সিআইপি ঘোষণা করা । ২) সাধারণ শিল্পী ও কলাকুশলীদের পক্ষে নানা মিডিয়ার বাধা ডিঙিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় না, তাই তারা যেন বিপদে-আপদে বিএফডিসির এমডির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের আর্জি জানাতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা। স্যালুট পারভেজ ভাই। দীর্ঘদিন আপনার ইউনিটে কাজ করেছি, ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছি। তখনই আপনার অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচিত হয়েছি। আজও আপনি তেমনই আছেন, সাধারণের জন্য কথা বলেন। বেঁচে থাকুন অনেকদিন।’

পরিচালক অপূর্ব রানা ফেসবুকে এ প্রসঙ্গে স্ট্যাটাসে লিখেছেন: ‘আজীবন সম্মাননা গ্রহণের পর চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দুটো অনুরোধ করেছেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতা ও একুশে পদক দেওয়া হয় যে কোনো একটি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য, সে ক্ষেত্রে সোহেল রানা ভাইয়ের শুধু একটি ‘ওরা এগার জন’-এর জন্য রাষ্ট্রীয় যে কোনো পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তিনি ছাত্রজীবন থেকে জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। চলচ্চিত্রে এসেও বিভিন্ন সংগঠনে তার অবদান উল্লেখযোগ্য।’

 

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়