ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য বিক্রেতার ব্যাংক হিসাবের চার্জ না নেওয়ার নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৯ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১৯:৫১, ১৯ মার্চ ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য বিক্রেতার ব্যাংক হিসাবের চার্জ না নেওয়ার নির্দেশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য বিক্রেতার ব্যাংক হিসাবের চার্জ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া, শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবাদানকারীদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক হিসাব খোলা ও ফি-চার্জ না নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। 

নির্দেশনায় শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবাদানকারীগণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজস্ব তৈরি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত পণ্য বিক্রেতা ও সেবাদানকারীদের ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে আনতে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। এসব হিসাবের ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা এখন থেকে থাকবে না। অর্থাৎ ন্যূনতম কোনো অর্থ এই হিসাবে রাখতে হবে না। এ হিসাবে ১ হাজার টাকা থাকলে গ্রাহক চাইলে পুরো টাকা তুলতে পারবে। অন্যান্য হিসাবে ন্যূনতম একটা অংকের টাকা রাখতে হয়।   

এছাড়া, ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিপরীতে কোনো প্রকার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সার্কুলার অনুযায়ী, ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ খুলতে কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। ই-কেওয়াইসি ও ব্যাংক হিসাব খুলতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এটি চলতি হিসাবের মতোই পরিচালিত হবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে এ হিসাব। তবে, এ হিসাবের মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না। এ হিসাবের এককালীন স্থিতি হবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। 

হিসাবটি খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের এক কপি অনুলিপি ও পেশার প্রমাণপত্র দিলেই হবে। পেশার প্রমাণপত্রের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির দেওয়া বৈধ কাগজ হলেই হবে। বিনা খরচে এই হিসাব খুলে দেবে দেশের সব ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।

এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়