ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আইন মেনে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

জবি সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২২ মার্চ ২০২৩  
আইন মেনে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জবি শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) নেতারা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চাপে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন হবে বলে জানান তাঁরা।

বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম দ্রুত করার জন্যও বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। কাজেই আইনানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আর কোনো বাঁধা থাকতে পারে না। গত ১৫ মার্চ বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার এবং এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে ৭০০ এর অধিক শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কোনো দ্বিমত প্রকাশ করেননি। তাই ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিল। এখন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত না মানলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে আর নাহয় নতুন করে আইন সংশোধন করতে হবে।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪০ এর (১) ধারাতে বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে। কিন্তু গত ১৫ মার্চের একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, গত ২০ মার্চে ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের বৈঠক শেষে জানানো হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আর এমনটি যদি হয়ে থাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ৪০ ধারা লঙ্ঘিত হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জানান, ইউজিসি তাদের সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তো আছেই। একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ে তো সিন্ডিকেট বড়। সিন্ডিকেটেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মেহেদী হাসান/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়