ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভাঙার অভিযোগ

আলী আকবর টুটুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০২, ১৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষকের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভাঙার অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপালের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার কর্মচারীর বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ এপ্রিল ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আল আমিনকে শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলতে দেখে। এ সময় তারা সেখানে গিয়ে কেন শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে তা জানতে চায়। তখন দপ্তরি আল আমিন বলেন প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলতে বলেছেন।

তারা জানায়, প্রধান শিক্ষক যে অপরাধ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছে।

রোববার বিকেলে বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের জমিদাতা অলিউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের শেখ, অভিভাবক আজিজুল শেখ, শিক্ষার্থী অভিষেক অধিকারী, বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি শেখ মোশারেফ হোসেন, পিটিএ সভাপতি শেখ ওলিয়ার রহমান প্রমুখ।

এ বিষয়ে ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শহীদ মিনারটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। কিছু অংশ ভেঙেও গিয়েছিল। শহীদ মিনারটি সংস্কার করতে হবে। প্রতিপক্ষরা আমাকে এখান থেকে তাড়াতে ষড়যন্ত্র করছে। এ ছাড়া আমাকে মেনে নিতে পারছে না ওই চক্রটি।

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল বলেন, শহীদ ভাঙার ঘটনা জানিয়ে স্থানীয়রা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন যদি শহীদ মিনার ভেঙে থাকেন তাহলে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/১৭ এপ্রিল ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়