জামালপুরে লেপ-তোষক কারিগরদের মুখে হাসি
সেলিম আব্বাস || রাইজিংবিডি.কম
জামালপুরে গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলো ফুটলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ। একটু বাতাস বইলেই কেঁপে উঠছে শরীর আর তাতে বুঝা যায় দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা। ভালো লাভ হওয়াতে তাদের মুখে প্রশান্তির হাসি দীর্ঘ হচ্ছে।
শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে লেপ-তোষক বানানো শুরু করেছেন এখানকার বাসিন্দারা। এজন্য লেপ-তোষক বানানোর দোকানগুলোতে হিড়িক পরে গেছে। আবার অনেকে আবার বাক্সে রাখা লেপ-তোষক বের করে মেরামত করছেন।কারিগররা বলছেন, কিছুদিন পরে ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে। ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে।
এদিকে, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে শীতের পুরাতন কাপড় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যাদের লেপ-তোষক কেনা বা বানানোর টাকা নেই তারা ভিড় জমাচ্ছেন ওইসব দোকানে। সেখানে দেড়শ থেকে দুইশ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভালো মানের পুরানো কাপড়। কেউ আবার অল্প টাকায় পাতলা কম্বলও ক্রয় করছেন।
জেলার বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার বাজারগুলোতে দেখা যায়, লেপ-তোষকের দোকানের সবকটিতেই ছিল কারিগরদের লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরা অর্ডার নিচ্ছেন এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন রঙ-মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একই দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাঁট-বাজারগুলোতে।
দেওয়ানগঞ্জ বাজারে লেপ বানাতে আসা লোকমান ফারুকী নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘শীতের জন্য একটা লেপ বানাতে এসেছি। কিন্তু দোকানিরা তুলার দাম বেশি চাইছেন। আবার দোকানিরাও মজুরি বেশি চাচ্ছেন। এর কারণে দামটা বেশ বেশি মনে হচ্ছে।’ এ বাজারে লেপ বানাতে আসা আরও কয়েকজন ক্রেতা এমন কথায় জানিয়েছেন।
মেলান্দহ উপজেলার বেলতৈল বাজারে লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. মমিনুর রহমান জানান, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ দুইশ থেকে তিনশ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ/তোষক বিক্রি করে চার’শ থেকে পাঁচশ টাকা লাভ হয়।
জামালপুর/বুলাকী
আরো পড়ুন