খুলনায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু

খুলনায় করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। করোনার সংক্রমণ রোধে আজ থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন।  

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে এ লক্ষ্যে শহরের মোড়ে মোড়ে এবং লোক সমাগমের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হতে দেখা গেছে।

এরআগে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (২১ জুন) নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণে ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সকল দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি জরুরি পরিষেবা (আইনশৃঙ্খলা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, রাজস্ব সেবা ইত্যাদি) ব্যতিত সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এছাড়া জেলার অভ্যন্তরে সকল ধরণের সাপ্তাহিক হাট/গরুর হাট বন্ধ থাকবে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলা গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহিরাগমন বন্ধ থাকবে। ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকবে।

অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।

তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাগুলো পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ঔষধের দোকান সার্বক্ষনিক খোলা রাখা যাবে।  

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং উৎপাদনশীল শিল্প ও কল-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম এ বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, উক্ত বিধি-নিষেধ মেনে না চললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।