ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মাগুরার ঐতিহ্যবাহী মেলায় মানুষের ঢল, অনুমতি নেই বলছে প্রশাসন

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১২ জানুয়ারি ২০২২  
মাগুরার ঐতিহ্যবাহী মেলায় মানুষের ঢল, অনুমতি নেই বলছে প্রশাসন

মাগুরার ঐতিহ্যবাহী মেলা

প্রতি বছর পৌষের ২৮ তারিখ মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ এবং মহম্মদপুর উপজেলার বড়রিয়া গ্রামে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই ঘোড়দৌড় ঘিরে চলে গ্রামীণ মেলা। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এবার মেলার অনুমতি নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এরই মধ্যে দুই উপজেলায় মেলা বসেছে। দূরদূরান্ত থেকে এসে মেলায় পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রস্তুতি রয়েছে ঘোড়দৌড় আয়োজনেরও। 

মহম্মদপুর উপজেলার বড়রিয়া গ্রামের মেলার আয়োজকদের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক দিনের জন্য মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  জেলা প্রশাসন বলছে, মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

দুই মেলার আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে মেলা দুটি আয়োজিত হয়ে আসছে। যেখানে মূল আকর্ষণ ঘোড়দৌড়। তবে ঘোড়দৌড়ের আগে ও পরে এক সপ্তাহ করে মেলা চলে। বুধবার দুই মেলাতেই ঘোড়দৌড় আয়োজনের কথা রয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে বড়রিয়া গ্রামের মেলায় গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে সেখানে কয়েকশ দোকানে শিশুদের খেলনা, কাপড়-চোপড়, প্রসাধনী, বাঁশ-বেত, মাটির পাত্র ও মিষ্টি থেকে শুরু করে আসবাব বেচাকেনা চলছে।  মেলায় মানুষের সমাগমও চোখে পড়ার মতো।

বড়রিয়া মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি আবুল কালাম ফকির বলেন, এই মেলায় ২০০ থেকে ৩০০ দোকান বসে।  মেলা ঘিরে পুরো উপজেলায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।  কিন্তু করোনার কারণে এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক দিনের জন্য মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলার বাহারবাগ মেলা চত্বরে চার থেকে পাঁচ দিন আগে থেকেই দোকান বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আয়োজক কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, শত বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে।  এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে দূরদূরান্ত থেকে মেলা দেখার জন্য আত্মীয়স্বজনেরা এসেছেন। এখানে কাউকে ডেকে আনতে হয় না। ব্যবসায়ীরা নিজে থেকে এসেই দোকান বসান। রাতে জারিগানের আয়োজন থাকে। কিন্তু এবার অনুমতি মেলেনি। এখন আমরা কাউকে তাড়িয়েও দিতে পারছি না, আবার ইচ্ছামতো উৎসবও করতে পারছি না।

গোপালগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, চারদিন আগে মালপত্র নিয়ে তাঁরা সাতজন বড়রিয়ার মেলায় এসেছি।  এখন মেলা বন্ধ হলে পথে বসতে হবে।

/শাহীন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ