ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঋণ নিয়ে দ্বন্দ্বে গৃহবধূকে হত্যা করে স্বামী-স্ত্রী : পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১২ জানুয়ারি ২০২৩  
ঋণ নিয়ে দ্বন্দ্বে গৃহবধূকে হত্যা করে স্বামী-স্ত্রী : পুলিশ

ফাতেমা বেগম

চড়া সুদে এনজিও’র লোন পেতে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জের ধরে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি, অতঃপর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে গৃহবধূ ফাতেমা বেগমকে (৫৫) হত্যা করে ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগম। এরপর লাশ গুম করতে মৃতদেহ বস্তায় ভরে বটিয়াঘাটার পুটিমারি নদীর দশগেট এলাকায় ফেলে দেয় তারা। 

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা খুলনা নগরীর সদর থানাধীন দারোগাপাড়া এলাকায় গত ৭ জানুয়ারি ঘটলেও বিষয়টি নিখোঁজ হিসেবে ছিল।

ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাটায় গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের মৃতদেহ বটিয়াঘাটার পুটিমারি বাজার সংলগ্ন নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইতোপূর্বে দায়েরকৃত নিখোঁজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই মো. জামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ফাতেমা বেগমের ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

নিখোঁজ মামলায় ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগম বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ফাতেমা বেগমকে হত্যা এবং লাশ গুমের চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, দারোগাপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম একটি এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য ওই এলাকার ফারুক ও তার স্ত্রীকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে তারা ফাতেমা বেগমকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ফাতেমা বেগমকে মোবাইলে কল করে ডেকে নেয় ফারুক ও তার স্ত্রী। এ সময় বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে তাদের ভাড়া বাসায় তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। এরপর রাত ৯টার দিকে লাশ বস্তাবন্দি করে বটিয়াঘাটার উপজেলাধীন ১০ গেট এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। 

এলাকাবাসী জানায়, ফাতেমা বেগম নিখোঁজের পর থেকে স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে পায়নি। ঘটনার দিন দুপুরে ফাতেমা বেগমকে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের বাসায় ঢুকতে দেখেন কয়েকজন এলাকাবাসী। এ ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে তাদের আটক করা হয়। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেন।   

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 

নুরুজ্জামান/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়