ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

২ স্কুলের কারণে পরীক্ষা দিতে পারল না ৩ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ৩ মে ২০২৩  
২ স্কুলের কারণে পরীক্ষা দিতে পারল না ৩ শিক্ষার্থী

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে দুই স্কুলের কারণে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিন শিক্ষার্থী। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। পরে গাফিলতি ও অক্ষমতার কথা স্বীকার করে নিজেদের তিন শিক্ষার্থীর কাছে ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন অক্সফোর্ড স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা হলেন- জেরিন সুলতানা, হাসনাত জাহান রক্সি ও মো. সজিব ইসলাম। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, মেরিগোল্ড হাই স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করে তারা অক্সফোর্ড স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। নবম শ্রেণিতে মেরিগোল্ড হাইস্কুলে ভর্তি না হওয়ার কারণে প্রধান শিক্ষক কৌশলে ৮ম শ্রেণির কাগজপত্র দিয়ে তাদের নবম শ্রেণিতে রেজিষ্ট্রেশন করে রাখেন। বিষয়টি অক্সফোর্ড স্কুলের শিক্ষকদের জানালে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তারা। কিন্তু পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড না পেয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি তিন শিক্ষার্থী। 

অক্সফোর্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহীন আলম বলেন, মেরিগোল্ড হাইস্কুলের প্রধান সেলিম স্যার পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন আটকিয়ে দেওয়ার কারণে তাদের ফরম পূরণ করতে পারিনি। তিনজনই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারাটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমাদেরও দোষ ছিল। আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী যা যা করনীয় এবং শিক্ষার্থীদের যাবতীয় খরচ বহন করবো।

পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থী সজিবের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন,  বিষয়টি জানার পর আমি কয়েকবার মোরিগোল্ড হাই স্কুলের সেলিম স্যারের কাছে টিসি আনতে যাই। তিনি ২৫  হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমি ১৮ হাজার টাকা ধার করে নিয়ে গেলেও টিসি দেননি তিনি। পরে অক্সফোর্ড স্কুলের শাহীন স্যারকে বিষয়টি জানালে টিসি আনতে হবে না বলে জানান তিনি। পরীক্ষার আগে শাহীন স্যারের কাছে ১০ হাজার করে টাকা দেই। তবুও আমার সন্তানসহ ৩ জন পরীক্ষা দিতে পারলো না। মেরিগোল্ড হাইস্কুল প্রধান সেলিম স্যারের কাছে গেলে প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ৬২ হাজার টাকা করে দাবি করেন বলে জানান শাহীন স্যার। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জেরিনের মা মহসিনা বেগম বলেন, ২৫ হাজার টাকা দিতে চাইলেও, কম হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। আমার মেয়ের রোল স্কুলে ১। তার মুখের দিকে চেয়েও তাদের মন গলেনি। আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেল। 

এ বিষয়ে মেরিগোল্ড হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সেলিম উল্লাহ বলেন, দুই বছর তারা স্কুলে না এলেও আমি রেজিষ্ট্রেশন করে রেখেছি। তারা যেহেতু টিসি নেয়নি এজন্য গত দুই বছরের বেতন দাবি করেছি। 

এবিষয়ে গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রেজাউল/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ