ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পেঁয়াজ আমদানিতে পাবনায় দরপতন

শাহীন রহমান, পাবনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৭ জুন ২০২৩  
পেঁয়াজ আমদানিতে পাবনায় দরপতন

বন্দর এলাকা হিলি, জয়পুরহাট, বগুড়া-খাতুনগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে পড়েছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারতের পেঁয়াজ আসার খবরে পেঁয়াজ ভান্ডার খ্যাত জেলা পাবনায় আরেক দফায় কমেছে পেঁয়াজের দাম। এদিকে, দাম আরও কমার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন চাষিরা। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) পাবনার বেশকিছু পেঁয়াজ হাট ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের খবরে বড় দরপতন ঘটেছে হাটগুলোয়। এতে চাষিরাও হাটে পেঁয়াজ কম আনতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ বিক্রি করতে এনেও ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

পাবনার বড় পেঁয়াজের হাট হাজিরহাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে গাড়ি এবং বস্তা মাথায় করে পেঁয়াজ নিয়ে হাটে ঢুকছেন চাষিরা। দেশী ভালো পেঁয়াজ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। যার প্রতি কেজি দাম দাঁড়ায় ৬০ থেকে সাড়ে ৬২ টাকা। অন্যদিকে এ পেঁয়াজ প্রতি মণ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। যার প্রতি কেজি দাম দাঁড়ায় সাড়ে ৬৭ থেকে ৭০ টাকা। কেউ কেউ বিক্রি করছেন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়ও। কিছুদিন আগেও পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়।

চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, গত হাটেও (২-৩ দিন আগে) পেঁয়াজের প্রতি মণ দাম ছিল ৩৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। সেই হিসাবে ২-৩ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পেঁয়াজে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দাম কমেছে। এ দরপতন আরও হলে ভোক্তাদের যেমন স্বস্তি মিলবে, অন্যদিকে লোকসানজনিত দুশ্চিন্তার কারণ হবে চাষিদের জন্য।

সদর উপজেলার চর বলরামপুরের পেঁয়াজ চাষি হান্নান মন্ডল বলেন, ‘সকালে পেঁয়াজ হাটে এনেছিলাম। ভারতের পেঁয়াজ দেশে ঢোকার খবরে দাম অনেক কম। দাম যদি আরও কমে তবে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। পেঁয়াজ বেশিদিন ঘরে রাখার সুযোগও নেই। পচন ধরে নষ্ট হয়। দু-দিক থেকে আমরা বিপদগ্রস্ত। আমাদের লোকসান যেন না হয়, সরকার যদি বাজারে পেঁয়াজের এমন একটা নির্দিষ্ট দাম বেধে দেয়, তবে সবার জন্যই ভালো।’ 

পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম কমার বিষয়টিকে মাথায় রেখে খুচরা ক্রেতারা পেঁয়াজ ক্রয় করছেন কম। তাদের ধারণা দাম হয়ত আরও কমবে এবং তখন বেশি করে কেনা যাবে। এতে দুর্মূল্যের এই বাজারে কিছুটা সাশ্রয় হবে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আতাহার আলী বলেন, ‘আমরা যেমন কিনি তেমন বিক্রি করি। তবে দাম যদি নির্ধারিত হতো তবে কেনা ও বেচা উভয়ই সহজ হতো। যদি বাজার নিয়ন্ত্রণ না হয়, তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ শেষ হলে দাম আবারও কয়েকগুণ বাড়বে। সেই দাম ক্রেতাদের জন্য অতিরিক্ত বেশি হয়ে যাবে।’ 

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পেঁয়াজ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পণ্য। রান্নার কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটা আসলে ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা চাষিদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে নিজেরা সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী। চাষিরাও পেঁয়াজের ভাল দাম পেয়েছে। আশা করি পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।’ 
 

/বকুল/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়