ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কে পাহাড় ধস, ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

রাঙামাটি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ৬ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২০:১৫, ৬ আগস্ট ২০২৩
মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কে পাহাড় ধস, ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

রাঙামাটি শহরের যুব উন্নয়ন এলাকার একটি সড়কের মাটি ধসে গেছে

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কের ১৬ কিলোমিটারের দুইটিলা এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। এতে দুই ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল ব্ন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় প্রশাসন রাস্তা পরিষ্কার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে, রাঙামাটি  শহরের ভেদভেদী যুব উন্নয়ন এলাকায় রাস্তার পাশের মাটি ধসে বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সকাল থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল রিজার্ভ বাজার, তবলছড়িসহ আশপাশের এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, গতকাল রাতে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বড় একটি গাছসহ পাহাড়ের মাটি আজ রোববার দুপুরের দিকে রাস্তার ওপর ধসে পড়ে। বিষয়টি জানার পরপরই সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সড়ক বিভাগে অবগত করা হয়। পরে খাগড়ছড়ি সড়ক জনপদ বিভাগের একটি  দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের ওপর থেকে  মাটি সরানোর কাজ শুরু করে। দুই ঘণ্টা ওই সড়কে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ চালু রয়েছে।

মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১০টি পয়েন্টে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়ছে। এছাড়া প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়কে যাতায়াতকারীদের পাহাড় ধসের বিষয়ে সতর্ক করছেন।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রোকৌশলী মাকসুদুর রহমান পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মারিশ্যা-দিঘীনালা একমাত্র সংযোগ সড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের একটি টিম সড়কের মাটি সরানো এবং ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে, রাঙামাটি  শহরের ভেদভেদী যুব উন্নয়ন এলাকায় রাস্তার পাশের মাটি ধসে বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল রিজার্ভ বাজার, তবলছড়িসহ আশপাশের এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। শহরের বনরুপা, রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি এলাকায় দুপুর ১২ থেকে দুপুর ২.৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, শহরের  রাঙাপানি এলাকায় একটি সড়কের পাশের মাটি ধসে ৩৩ হাজার লাইনের একটি বিদু্ৎতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। লাইনটি মেরামত করার জন্য মাঝেরবস্তি সাবস্টেশন থেকে সব বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বর্তমানে বিদুৎ সংযোড় সচল আছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি ক্যালেক্টর মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, পাহাড়ের পদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে  আনতে আমাদের  কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ঝুঁকিতে বসবাস করা শিমুলতলীসহ প্রায় ৩০০ মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি জেলায় মোট ১৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।এর মধ্যে রাঙামাটি শহরে হচ্ছে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। পাহাড় ধসের আশংকায় রাঙামাটি শহরের বেতার ভবন, বিএম ইনিষ্টিটিউট স্কুল ও লোকনাথ মন্দির আশ্রমে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  

বিজয়/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়