কুমিল্লায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, যুবক গ্রেপ্তার

কুমিল্লার লালমাই পাহাড় থেকে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগড়া অংশ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন।

খুন হওয়া অটোরিকশা চালক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাশ উত্তর ইউনিয়নের বাশঁতলী নোয়াবাড়ির মো. কাসেমের ছেলে মেহেদী হাসান (১২)। অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের মাগন বাড়ির নজির মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন (২৫)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর সকালে মেহেদী হাসান অটোরিকশা নিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হয়। ইলাশপুর চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে আসলে সেখান থেকে নাজমুল হোসেন আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার যাওয়ার জন্য ভাড়া নেয়। কালির বাজার গিয়ে চালক মেহেদীকে বলে পাশের লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া কবরস্থানের উত্তর পাশে চারা গাছ আছে, সেগুলো নেবেন। নাজমুল ও মেহেদীর পাশাপাশি গ্রামের ও পরিচিত হওয়াতে তিনি যেতে রাজি হয়। ঝোপের ভিতর নিয়ে নাজমুল তার কোমরে লুকিয়ে রাখা চাকু বের করে প্রথমে মেহেদীর পেটে দুটি আঘাত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলা কাটে মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার অটোরিকশা নিয়ে নাজমুল তার শ্বশুর বাড়ি দাউদকান্দি থানধীন গৌরিপুর চলে যায়। 

বাড়ি ফেরত না আসায় মেহেদীর বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, নাজমুল তার ছেলে মেহেদীর অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে গেছে। যাওয়ার পর থেকে কেউ আর তাকে দেখেনি। থানায় অভিযোগ করলে, পুলিশ নাজমুলকে দাউদকান্দির গৌরিপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করেন। এবং তার তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাত প্রায় ২টার দিকে লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া কবরস্থানে অটোরিকশা ও পরে মেহেদীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল সব বিষয় স্বীকার করেছেন। তার তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।