আ.লীগ নেতাকে হত্যা, ২ ছাত্রলীগ নেতা ৩ দিনের রিমান্ডে

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোহানকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রাম আমলী আদালতের বিচারক মজনু মিয়া তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, আদালতের কাছে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ২ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার 

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধরে পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহান (৪৩) নিহত হন। ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এরপর নিহত শরিফুল ইসলামের এর স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮ জনকে নাম না জানা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তার অভিযোগটি শনিবার মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মোট ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৭-৮ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই ছাত্রলীগ নেতা ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামির নাম স্বাধীন ও সৌরভ। তারা পলাতক।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতার মারধরে আ.লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ

এদিকে, আজ (শনিবার) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে শরিফুল ইসলাম সোহানের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের খলিলগন্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জিপ গাড়িতে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দলবল নিয়ে এসে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানকে মারধর করে আহত করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।