যশোর বোর্ড
তথ্য গোপন করে পরীক্ষার্থীর বাবা হলেন ইংরেজির পরীক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী, এই তথ্য গোপন করে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ইংরেজি প্রথমপত্রের প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন চৌগাছা উপজেলার ঝাউতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়নাল হক। অথচ, পরীক্ষকরে নিয়োগপত্রে স্পষ্ট বলা আছে সন্তান কিংবা পোষ্য পরীক্ষার্থী হলে প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও নিরীক্ষক হতে পারবেন না। তারপরও ইংরেজি প্রথমপত্রের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য গ্রহণ করেছেন আয়নাল হক।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আয়নাল হকের ছেলে চৌগাছা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এরপরও আইনাল হক তথ্য গোপন করে যশোর বোর্ডের ইংরেজি প্রথমপত্রের প্রধান পরীক্ষক হয়েছেন। এরইমধ্যে বোর্ড থেকে খাতাও নিয়ে এসেছেন তিনি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের আওতাধীন সব পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক/নিরীক্ষকদের নিয়োগপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ম হলো- সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা সেখান থেকে নিয়োগপত্রটি ডাউনলোড করে নিয়োগপত্রের উপরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককের স্বাক্ষর করে বোর্ডে নিয়ে যেয়ে উত্তরপত্র নিয়ে আসবেন। আয়নাল হক নিজেই প্রধান শিক্ষক, নিজের প্রত্যায়ন নিজেই দিয়ে সন্তান পরীক্ষার্থীর তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ইংরেজি প্রথমপত্রের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে মূল্যায়নের জন্য ৪০০ উত্তরপত্র গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে চৌগাছার শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রধান শিক্ষক আয়নাল হক বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানাবো। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত দেন সেটাই হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদের মুঠোফোনে একাধিকার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রিটন/মাসুদ
আরো পড়ুন